Murshidabad: কালীপুজোর আগেই বড় বিপদ? ভয় ধরাচ্ছে গঙ্গা
জানা যাচ্ছে, রবিবার রাত ন'টার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। ভাঙনের গর্ভে তলিয়ে যায় নদীর ধারে থাকা বাঁধের একটি রাস্তার একাংশ। বিশাল বড় আকারের ফাটল ধরেছে ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দিরে। ইতিমধ্যেই কালী মন্দিরের নিচের অংশের মাটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।

মুর্শিদাবাদ: প্রকৃতির রুদ্ররোষে পড়েছে উত্তরবঙ্গ। ভেঙেছে রাস্তা। প্রাণ গিয়েছে একাধিকের। সব তছনছ হয়ে গেছে কার্যত। যে সমস্ত পর্যটকরা গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে তাঁরা প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন। আর এবার কালীপুজোর আগে কি আবারও বিপদ? অন্তত সেই নিয়েই চাপানউতোর চলছে মুর্শিদাবাদের একাংশ এলাকায়। কারণ, আবারও গঙ্গা ভাঙন সেখানে। ক্রমেই যেন গিলে খেতে আসছে গঙ্গা। ফাটল ধরেছে কালী মন্দিরে। এলাকাবাসীদের অনুমান, কালীপুজোর আগেই হয়ত তলিয়ে যেতে পারে কালী মন্দিরটি। ঘটতে পারে বড় বিপদ। তার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সামসেরগঞ্জের চাচণ্ড গ্রামে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার রাত ন’টার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। ভাঙনের গর্ভে তলিয়ে যায় নদীর ধারে থাকা বাঁধের একটি রাস্তার একাংশ। বিশাল বড় আকারের ফাটল ধরেছে ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দিরে। ইতিমধ্যেই কালী মন্দিরের নিচের অংশের মাটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। প্রায় ১০০ মিটার জমিও গঙ্গা গর্ভে। রাতে ভাঙন শুরু হতেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। ঘুম বন্ধ এলাকাবাসীর। রাতের মধ্যেই যে কোন মুহূর্তে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে মন্দিরটি। বেশ কিছু বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।
এ দিকে, বাঁধে ফাটল ধরার বিষয় প্রকাশ্যে আসতই প্রশাসনের তরফে প্রচুর বালির বস্তা পাঠানো হয় নৌকায় করে। তবে সেই বালি ভর্তি নৌকা ঘুরিয়ে দেন ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই বালির বস্তা দিয়ে স্থায়ী সমাধান হবে না। তাই তাঁরা বালির বস্তা ভর্তি নৌকা ফিরিয়ে দিয়েছে। এলাকার মানুষজন চান স্থায়ী সমাধান। বিক্ষোভরত এক মহিলা বলেন, “বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা যায়? আমরা চাইছি ভাল করে বানাক পাথর দিয়ে। এই বাঁধ দিয়ে কী হবে?”
