Murshidabad: বেঙ্গালুরুতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের ৬ শ্রমিকের
Murshidabad Migrant Workers' Death: অধীর চৌধুরী কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। যাতে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ দ্রুত তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলি মুর্শিদাবাদে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় অধীরবাবু গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।

মুর্শিদাবাদ: বেঙ্গালুরুতে দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের ৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। ৬ দিন আগে বেঙ্গালুরুতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ হন মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ব্লকের ৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৎক্ষণাৎ আহত শ্রমিকদের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতালের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। হাসপাতালের তরফ থেকে সবরকমের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ৬ শ্রমিকের ৮০ শতাংশের বেশি বার্ন ইনজুরি ছিল। তাঁদের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, তাঁদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
অধীর চৌধুরী কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। যাতে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ দ্রুত তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলি মুর্শিদাবাদে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় অধীরবাবু গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অধীর চৌধুরী। ঘটনার পর থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের এক সদস্য জানান, “পরিবারের এক মাত্র রোজগেরে। গ্রামে সেভাবে কাজের কোনও সুযোগ ছিল না। যা টাকা পেত, তাতে সংসার চলত না। তাই বছর খানেক আগেই বাইরে চলে গিয়েছিল। আমাদের কাছে ওখান থেকেই একটা ফোন আসে। তাতে আমরা জানি চিকিৎসা চলছে। পরে আরেকটা ফোন আসে, শুনি সব শেষ। অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল।” পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজনের কাজের যাতে চাকরি হয়, তার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, একই ভাবে বর্ধমানের এক শ্রমিক অসমে কাজে গিয়ে কারখানার একটি মেশিন বিস্ফোরণে আহত হন। গত অগাস্ট মাসে তাঁর দুর্ঘটনা ঘটে। এখন তিনি কোমায়।
