AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে বড় কথা নয়, SIR-এর ফর্ম নিতে গিয়ে ভারতীয় স্বামীর যে কীর্তি জানতে পারলেন স্ত্রী, তাতে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনেরও

Nadia SIR:শ্যামনগরের গৃহবধূ ঊষা রায় অভিযোগ করেন, তিনি জন্মসূত্রে ভারতবর্ষের নাগরিক । বিবাহ সূত্রে হাঁসখালি শ্যামনগরের বাসিন্দা ,তাঁর স্বামী অশোক রায়। বিয়ের পর ঊষা দেবী শ্যামনগরেই স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। ঊষার অভিযোগ, তাঁর স্বামী অশোক রায় প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতন করতেন।

Nadia:  স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে বড় কথা নয়, SIR-এর ফর্ম নিতে গিয়ে ভারতীয় স্বামীর যে কীর্তি জানতে পারলেন স্ত্রী, তাতে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনেরও
অসহায় হয়ে স্টেশনে শুয়ে ঊষাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2025 | 1:20 PM
Share

নদিয়া: স্বামীর অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় গিয়ে পরিচারিকার কাজ করতেন স্ত্রী। ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। BLO-র কাছে ফর্ম নিতে এসে দেখেন তাঁর নামের এপিক কার্ড চুরি করে এক বাংলাদেশি মহিলাকে স্ত্রী বানিয়ে ফর্ম ফিল আপও করে ফেলেছেন স্বামী।। অভিযোগ জানিয়েছেন প্রশাসনিক দফতরের।ফলে বাড়িতে আর ঠাঁই হয়নি তাঁর। তাহলে তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে? এই দুশ্চিন্তা ও দোলাচলে দিন কাটছে হাঁসখালির বাসিন্দার ঊষা রায়ের।

বাড়িতে নিত্য অশান্তি হওয়ায়, ঊষা বাড়িতে থেকে চলে যান।  এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। স্বামীর ঘরেই ফেলে গিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সব নথি। অভিযোগ, সেই তাঁর এপিক কার্ড চুরি করে ছবি পাল্টে দ্বিতীয় স্ত্রীর SIR-এর ফর্ম ফিলাপ করেন স্বামী। SIR ফর্মে প্রথম পক্ষে স্ত্রীর নাম ও এপিক নম্বর ব্যবহার করা হয়। তাঁর প্রথম পক্ষে স্ত্রী বিএলও-র কাছে নিজের ফর্ম নিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদিয়ার হাঁসখালির গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর মাঠপাড়া এলাকায় ।

শ্যামনগরের গৃহবধূ ঊষা রায় অভিযোগ করেন, তিনি জন্মসূত্রে ভারতবর্ষের নাগরিক । বিবাহ সূত্রে হাঁসখালি শ্যামনগরের বাসিন্দা ,তাঁর স্বামী অশোক রায়। বিয়ের পর ঊষা দেবী শ্যামনগরেই স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। ঊষার অভিযোগ, তাঁর স্বামী অশোক রায় প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের মাত্রা এত বেড়ে যায়, যে তিনি বাধ্য হন স্বামীর ঘর ত্যাগ করতেন। তাঁর ছোট্ট ছেলে নিয়ে তিনি কলকাতায় সোনারপুরে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে থাকেন সংসার চালানোর জন্য।

এখনও তিনি সেই একই কাজ করে চলেছেন নিজের সংসার চালাতে । তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর অশোক বাংলাদেশের মহিলাকে বিবাহ করেন । ঊষার অভিযোগ, ২০০২ সালে তিনি হাঁসখালির শ্যামনগরেই ছিলেন। এমনকি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে । বর্তমানে এসআইআর-এর ফর্ম নেওয়ার জন্য উসা দেবী শ্যামনগরে আসেন এবং বি এল এর কাছ থেকে তার নিজের এসআইয়ের ফর্ম নিতে যান।

বিএলও বলেন,  স্বামী অশোক দাস ঊষার এসআইআর-এর ফর্ম নিয়ে যান ও ফর্ম ফিল আপের পর জমাও দেন। এরপর ঊষা তাঁর স্বামীর কাছে ফর্ম চাইতে যান। তখন দেখেন তাঁর ঘরে অন্য মহিলা। জানতে পারেন, দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন তাঁর স্বামী। এদিকে সেই স্ত্রীর ফর্ম ফিল আপ করেছেন তাঁরই এপিক নম্বর দিয়ে।

ঊষার বক্তব্য, তাঁরই এপিক নম্বর, বয়স, ঠিকানা সমস্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশের স্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ফর্ম ফিল আপ করেছেন। বাধ্য হয়ে হাঁসখালি থানায় , রানাঘাট এসডিও-কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। একমাত্র হাঁস খালির বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়ে তাঁকে ফেরত আসতে হয়েছে। তিনি অভিযোগ নেননি বলে দাবি ঊষার।

ঊষার বক্তব্য, ” স্বামী থেকেও নেই। এদেশের বাসিন্দা। কিন্তু আমারই ফর্ম  বাংলাদেশের মহিলা ফিল আপ করল। আমার ভবিষ্যৎ কী জানি না।” এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি শুভদীপ সরকার বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব তদন্ত করে যে সঠিক ভোটার তার নাম লিপিবদ্ধ করা হোক । আর যারা তাকে নকল করে জালিয়াতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনরূপ ব্যবস্থা নিক।”

এ ব্যাপারে নদিয়া জেলার বিজেপি নেতা অমিত প্রামাণিক বলেন, “এত সাংঘাতিক অভিযোগ। আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি । “