Nadia Arrest: সীমান্তে কাশ্মীর ফেরত ৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার, অন্য কোনও যোগ রয়েছে কি? ভাবাচ্ছে পুলিশকে

Nadia Arrest: গুয়াহাটির পর কাশ্মীরে যায়। সেখানে এক মাস ছিল তারা। বৃহস্পতিবার দালাল মারফত গেঁদে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল।

Nadia Arrest: সীমান্তে কাশ্মীর ফেরত ৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার, অন্য কোনও যোগ রয়েছে কি? ভাবাচ্ছে পুলিশকে
নদিয়ায় চার বাংলাদেশি গ্রেফতার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 12:47 PM

নদিয়া: কাশ্মীর ফেরত ৪ বাংলাদেশি যুবককে গেঁদে সীমান্তে ধরল কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার জন বাংলাদেশি যুবক এক মাস আগে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের সিলেট থেকে ভুটান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে।

গুয়াহাটির পর কাশ্মীরে যায়। সেখানে এক মাস ছিল তারা। বৃহস্পতিবার দালাল মারফত গেঁদে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সূত্র মারফত জানতে পেরে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের ধরে ফেলে । কী উদ্দেশে ওই চার বাংলাদেশি যুবক কাশ্মীরে গিয়েছিল, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম আবদুল হোসিয়েন মিঞাঁ, মহম্মদ জুয়েল মিঞাঁ, মহম্মদ জুবেল মিঞাঁ, সুকুন মিঞাঁ। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট এলাকায়।

গত মাসেই সীমান্ত থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে আটক হয় দুই অনুপ্রবেশকারী। কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা। রিপন ফরাজি ও আব্দুল কাদের মোল্লা- দুজনই খুলনা জেলার বাসিন্দা। বাংলাদেশ থেকে শিমুলিয়ার মহেশপুর হয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে। উক্ত দু’জনের সঙ্গে লিঙ্ক ম্যান হিসেবে কাজ করছিল কুকরাদা গ্রামের চাপড়া থানার রবিউল মণ্ডল।

কর্তব্যরত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের প্রথম সন্দেহ হয় এদের উপর। পরে কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় আটক করা হয় তাদের। কয়েকদিন আগেই মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করে গ্রেফতার হন সোহেল রানা। তিনি নেপালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায় তিনি বাংলাদেশের পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। সে দেশে ১,১০০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তার পরেই নড়েচড়ে বসে ভারতের পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ বাহারুল নামে আর এক ব্যক্তি ভারতে আসেন। শিলিগুড়িতে ক’দিন থেকে, তিনি কলকাতা যাচ্ছেন জানিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যান। এর দিন তিনেক পর ফের ফিরে আসেন তিনি। জানান গুয়াহাটি থেকে ফিরছেন। আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তার কাছে বৈধ পাসপোর্টও রয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা সোহেল রানাকে কোনও বার্তা পৌঁছে দিতে বা সোহেল রানার কাছ থেকে কোনও গোপন তথ্য জানতেই তিনি শিলিগুড়ি এসে ঘাঁটি গাড়েন। তাকেও জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।

তবে ধৃত এই চার জনের কাশ্মীর-যোগ পুলিশকে ভাবাচ্ছে। আদৌ তারা কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা, সেখানে কোনও প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল কিনা, সে সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তবে তদন্তের স্বার্থে সে সব কিছু এখনই বলতে চাইছেন না তাঁরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ‘ক্লু’ এর খোঁজে চলছে টানা জেরা।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri Toto Fare: মূল্যবৃদ্ধির বাজার বলে কথা, এবার থেকে টোটোতে উঠলেই ন্যূনতম ভাড়া কত হতে চলেছে জানেন?