বারাসত: রবিবার সকাল আটটা নাগাদ বাজি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল এলাকা। কমপক্ষে ৮ জনের। আহত একাধিক। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাতভর চলছে তল্লাশি। সকাল থেকে আবারও দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। কোথাও পড়ে রয়েছে কাটা হাত, কোথাও কাটা মুণ্ড, কাটা আঙুল। ভয়ঙ্কর ছবি ফিরিয়ে দিল কয়েক মাস আগের এগরার বিস্ফোরণস্থলের ছবি।
সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে। ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হল সোমবার। সবিস্তারে পড়ুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি
দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন। সোমবার তিনি বলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন। এর আগে রাজ্য বিজেপি এই বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি জানায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহকে এই নিয়ে রবিবার চিঠিও দেন।
নীলগঞ্জে বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছলেন এনআইএ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখলেন এনআইএ-এর দুই আধিকারিক। সেখানে তদন্তকারী এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দখলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিপিএমের প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে। তিনি বলেন, “দেহ উদ্ধার,নমুনা সংগ্রহ প্রাথমিক কাজ। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এখান থেকে মাল সরাচ্ছে। গ্রামবাসীরা আপত্তি করেছেন। রাজ্য সরকারের প্রথম কাজ অপরাধীদের মদত দেওয়া, অপরাধ হলে প্রমাণ সরানো। বাইরে ইটভাটা, পিছনে ল্যাবরেটরি। আগে এরাই গরু ছাগল চড়াত। আগে যারা আপত্তি করেছিল, তাদেরই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে পুলিশ। আগে বলেছিলাম, পুলিশের নাকের ডগায় বিস্ফোরণ, এখন বলছি, পুলিশেই মদতেই বিস্ফোরণ।”
দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করল এক জনকে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে এটাই প্রথম গ্রেফতারি। ধৃত ব্যক্তির নাম সফিকুল ইসলাম।
বিস্তারিত পড়ুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার, ধৃত সফিকুল কেরামতের সহযোগী
পটাসিয়াম ক্লোরেট, বেরিয়াম নাইট্রেট এবং অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো- এই তিন রাসায়নিকের জেরেই বিস্ফোরণের অভিঘাত এত বেশি বলে অনুমান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।
পড়ুন বিস্তারিত: বিস্ফোরণের অভিঘাত কয়েক হাজার বোমার সমান! কীভাবে ঘটল, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে
খাদিকুল থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি প্রশাসন, অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলের বাসিন্দাদের। তিন মাস আগে এই গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। সবিস্তারে পড়ুন: ‘খাদিকুল থেকে প্রশাসন কোনও শিক্ষাই নিল না’, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ নিয়ে আক্ষেপের সুর এগরার সেই গ্রামে
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দত্তপুকুরে যান রবিবার সন্ধ্যায়। সেখানে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানান গ্রামের মহিলারা। তাঁরা বলেন, গ্রামে একাধিক বেআইনি বোমা বাজি কারখানা আছে। বিস্তারিত পড়ুন: ‘গোটা গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানা ভর্তি’, রাজ্যপালকে নালিশ নীলগঞ্জের মহিলাদের
দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ নিয়ে স্থানীয়রা মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে দাবি বারাসতের সাংসদ তৃণমূল ঘোষ দস্তিদারের। যাঁরা এই ধরনের অভিযোগ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অপবাদ’, হাসপাতালে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি কাকলির
উত্তরবঙ্গের সফর সেরেই বারাসতে যাবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মাটিগোড়ায় মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার ১২ টার উড়ানে উত্তরবঙ্গ উড়ে যান রাজ্যপাল। সেখান থেকেই বারাসতের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের খবর পান। সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরেই তিনি সরাসরি বারাসতে যাবেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর।
বারাসত বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এনআইএ তদন্ত দাবি করল রাজ্য বিজেপি। এ দিন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এনআইএ তদন্তের দাবি জানান।
বাজি বিস্ফোরণ ঘটনায় বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার ৭ জনকে মৃত এবং ৮ জন আহত বলে ঘোষণা করেছেন। জখমদের মধ্যে তিনজন শিশু ও তিন মহিলা রয়েছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: Barasat Blast: ‘খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সব জানতেন’
কোনও দেহ পড়ে রয়েছে কারও বাড়ির ছাদে, কোথাও আবার পেয়ারা গাছে ঝুলছে দেহ, কোথাও আবার টালির চালে ঝুলছে দেহাংশ, রবিবার সকালে নীলগঞ্জ যেন আস্ত মৃত্যুপুরী। এখন চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আহতদের। ছুটে এসেছে দমকল।
বিস্তারিত পড়ুন: Blast in Barasat: টালির চালে, কোথাও ছাদে, কোথাও পেয়ারা গাছে ঝুলছে দেহ