Blast in Barasat: টালির চালে, কোথাও ছাদে, কোথাও পেয়ারা গাছে ঝুলছে দেহ

Blast in Barasat: এগারায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়। তৈরি হয় নয়া কমিটি।

Blast in Barasat: টালির চালে, কোথাও ছাদে, কোথাও পেয়ারা গাছে ঝুলছে দেহ
তীব্র আতঙ্ক গোটা এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2023 | 1:20 PM

দত্তপুকুর: কোনও দেহ পড়ে রয়েছে কারও বাড়ির ছাদে, কোথাও আবার পেয়ারা গাছে ঝুলছে দেহ, কোথাও আবার টালির চালে ঝুলছে দেহাংশ, রবিবার সকালে নীলগঞ্জ যেন আস্ত মৃত্যুপুরী। এখন চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আহতদের। ছুটে এসেছে দমকল। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন সকালে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয় সেই বাড়িটি কার্যত ভেঙে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরির কাজ চলত এই জায়গায়। পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তাতেই এখন ক্ষোভে ফুটছে গোটা এলাকা। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানা চলছে। কয়েকবার ছোটখাটো বিস্ফোরণও হয়েছে। কিন্তু, সব দেখেও পুলিশ-প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল। এমনকী যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেই বাড়ির মালিককেও এর আগে সতর্ক করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। যাতে সেখানে বোমা বাঁধার কাজ আর না করা হয় সেই অনুরোধ করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু, তাতেও কোনওরকম ওই বাড়ির মালিক কোনওরকম কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ করাতেন। 

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “ওকে দীর্ঘদিন থেকে বাজি কারখানা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, করেনি। আজ তো এই কাণ্ড হয়ে গেল। ৭টা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর কোথায় কোথায় দেহ পড়ে রয়েছে জানি না। মৃতদের মধ্যে অনেক বাইরের লোকও রয়েছে।”  

এদিকে এগারায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়। তৈরি হয় নয়া কমিটি। কমিটির মাথায় বসেন মুখ্যসচিব। বেআইনি বাজি কারখানা থাকলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু, তারপরেও কেন রাজ্যে বেআইনি বাজি কারবারিদের দৌরাত্ম্য কেন ঠেকানো যাচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী স্থানীয় বাসিন্দারা নিষেধ করলেও কীভাবে এলাকায় দিনের পর দিন এলাকায় বাজি কারখানা চালিয়ে গেলেন ওই বাড়ির মালিক? তাহলে কী তাঁর মাথায় হাত রয়েছে প্রভাবশালীদের। উঠছে সেই প্রশ্নও।