মুকুলের পথে… বনগাঁ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির পদ ছাড়লেন খালেক
BJP: ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি করা হয়। এহেন খালেক নাকি সাম্প্রতিক বিজেপির কাজে ক্ষুব্ধ। তাই সংখ্যালঘু মোর্চার জেলে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।
বনগাঁ: মুকুল রায় বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরার পরই জেলায় জেলায় বিজেপিতে ভাঙল দেখা যায়। বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনায় এই ধারা বেশ তীব্র। এবার বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন খালেক বিশ্বাস।
শনিবার তাঁর ইস্তফাপত্র বিজেপির জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন খালেক। ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন খালেক বিশ্বাস। তবে ২ বছর পর দলবদল করেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি করা হয়। এহেন খালেক নাকি সাম্প্রতিক বিজেপির কাজে ক্ষুব্ধ। তাই সংখ্যালঘু মোর্চার জেলে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বিজেপি ছাড়ছেন বলেও জানিয়েছেন।
যদিও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি (সাংগঠনিক) দেবর্ষি বিশ্বাস জানাচ্ছেন যে তাঁরা এখনও কোনও পদত্যাগপত্র পাওয়া বা দেওয়ার খবর জানেন না। তবে সত্যিই ইস্তফা দিলে দল সিদ্ধান্ত নেবে।
এবার কি তবে খালেক তৃণমূলে? এই প্রশ্নের উত্তরে খালেক জানিয়েছেন, “আমরা রাজনৈতিক লোক। রাজনীতি হয়তবা করব। কোনও সম্মানীয় জায়গা পেলে ভেবে দেখব। তবে এখনও কিছু ভাবিনি।” যদিও সূত্রের খবর, ফের পুরনো দলেই ফিরবেন খালেক।
এদিকে বনগাঁ সংখ্যালঘু মোর্চার বিজেপির সভাপতি ইস্তফা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কডিনেটর গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, “এটা নতুন কিছু নয়। সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপিতে আর কেউ থাকতে চাইছে না। কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে বিজেপিতে গিয়েছিল। বিজেপি আর এরাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না। সেই কারণে তারা বোঝাতে চাইছেন, ‘আমরাও থাকব না।’ বিজেপিতে আর কেউ থাকবে না।” আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথীতে এই চিকিৎসা হয় না,’ কার্ড নাকচ করে কাঠগড়ায় হাসপাতাল, পাল্টা ‘যুক্তি’ কর্তৃপক্ষের