Matua Politics: ‘কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন নয়’, মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকের পোস্ট ঘিরে জল্পনা!
North 24 Pargana: সমস্যার সূত্রপাত বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা থেকে। তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই দলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। সেই তালিকায় রয়েছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরও।
উত্তর ২৪ পরগনা: মতুয়া-গড়ে নয়া সমীকরণ। পাঁচ বিজেপি বিধায়কের দলীয় হোয়াটস্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মতুয়া-গড়ে ক্রমেই পটপরিবর্তন। ইতিমধ্যেই, গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরকে ‘ঘরে ফেরবার ডাক’ দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর (Mamata Bala Thakur)। এ বার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্র গায়েনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা দেখা দিয়েছে।
সুখেন্দ্র তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ আর কোনও নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক পার্টিকে সমর্থন করবে না।” আরও একটি পোস্টে লিখেছেন, “মতুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, তৈরি থাকুন, আগামিদিনের জন্য, মতুয়ারা ও বঞ্চিত করার ক্ষমতা রাখে”। মতুয়া সঙ্ঘের সম্পাদকের এ হেন পোস্ট ঘিরে কার্যত জল্পনা ছড়িয়েছে।
যদিও, মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্র গাইনের মন্তব্য, “পোস্টটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমরা ১১ দফা দাবি নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার একটাও পূরণ হয়নি। সবক্ষেত্রে মতুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছে। সাংগঠিনক ক্ষেত্রেও আমাদের নেতাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি।”
যদিও, মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকের এ হেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সুব্রত ঠাকুর। এমনকী, তিনি কেন হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন তা নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি। শোনা গিয়েছে, অতি সম্প্রতি মতুয়াদের নিয়ে একটি বৈঠকও করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, মতুয়া মহাসঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, সমস্যার সূত্রপাত বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা থেকে। তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই দলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। সেই তালিকায় রয়েছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরও। সূত্রের খবর, যাঁরা গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তাঁরা সকলেই ঘটনাচক্রে মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত।
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকায় একজনও মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত কেউ স্থান পাননি বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বিধায়করা, অন্তত এমনটাই কানাঘুষো শোনা গিয়েছে। অথচ, বিজেপির একটি বড় অংশের ভোটপ্রাপ্তি ঘটেছে এই মতুয়া গড়েই। আরও শোনা যাচ্ছে, দলের অন্দরের এই ‘অভিযোগ’ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই পরিস্থিতিতেই শান্তনু ও সুব্রতকে দলে ফেরার আহ্বান জানান মমতাবালা।
উল্লেখ্য, মতুয়াদের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। সুব্রত ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুর বিজেপিতে থাকলেও সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা তৃণমূলের সঙ্গে। এরফলে মতুয়া ভোটেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সুব্রতকে সেভাবে দলের বৈঠকে দেখা যায়নি। দলের কোনও কর্মসূচিতেও সেভাবে দেখা যায়নি ‘মুকুল-ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত গাইঘাটার এই বিধায়ককে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তাই জল কোন দিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Deocha Pachami Coal Mining Project: পাচামি এলাকায় মাও-পোস্টার, ‘জোর করে ভয় দেখানো’-র অভিযোগ দিলীপের