‘বকেয়া টাকা না মেটালে বিধানসভা ভোটে বাস দেব না’, কমিশনকে চিঠি মালিক সংগঠনের

নির্বাচনে বাস-মিনিবাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ। ভোটের সময় হাজার হাজার ভোট কর্মীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই বাস, মিনিবাস।

'বকেয়া টাকা না মেটালে বিধানসভা ভোটে বাস দেব না', কমিশনকে চিঠি মালিক সংগঠনের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2021 | 4:57 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বকেয়া টাকা না মেটালে ভোটের কাজে বাস দেওয়া হবে না। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল বাস-মিনিবাস সংগঠন। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, গত লোকসভার বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। তারপর আগামী বিধানসভা ভোটের জন্য বাস, মিনিবাস দেবে তারা। যদি বল প্রয়োগ করা হয়, সে ক্ষেত্রে বড়সড় আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে সংগঠন।

সংগঠনের দাবি, ‘১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তাদের বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। অথচ এখনও ৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাদের হুঁশিয়ারি, সেই টাকা না মেটালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোনও বাস, মিনিবাস পাবে না নির্বাচন কমিশন। বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে কার্যত কড়া হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মমতার ‘বোন’ নিয়ে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

এ প্রসঙ্গে বাস ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, “ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন যে বাস ভাড়া নিয়েছিল এখনও সারা রাজ্যে ৫ কোটি টাকা বাকি। কোনও জেলায় ৫০ শতাংশ টাকা পেয়েছে, কোনও জেলায় ৭০ শতাংশ টাকা পেয়েছে। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা একটি টাকাও পায়নি। বকেয়া না পেলে একুশের ভোটে আমরা কোনও বাস দেব না।”

এদিকে নির্বাচনের সময় প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট কর্মীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই বাস। ভোট কেন্দ্রে কর্মীদের যাওয়া-আসার জন্য তা বরাদ্দ থাকে। সেই বাসই যদি না মেলে তাহলে বিপাকে পড়তে হবে ভোট কর্মীদের। বিঘ্নিত হবে ভোট পদ্ধতি। বাস ইউনিয়েনের পক্ষ থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি, নির্বাচন কমিশন আইনের জোরে বাস নিয়ে যেতেই পারে, কিন্তু কোনও চালক বা খালাসি কাজে যোগ দেবেন না।

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও ‘দুয়ারে সরকার’

একইসঙ্গে ইউনিয়নের দাবি, বাড়াতে হবে পারিশ্রমিকও। খালাসি ও চালককে এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১৭০ টাকা দেওয়া হতো। এবার তা ২৫০ টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে। গাড়িভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১৯১০ টাকার বদলে এবার ২৫০০ টাকার দাবি করেছে তারা। এই দাবি মানা না হলে কেউই কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।