Sandeshkhali: শাহজাহান নিয়ে এত কাণ্ডের মাঝে ছাড় পেয়ে গিয়েছেন তিনি! সাহস দেখিয়ে সেই ‘কর্তা’র নাম বলল সন্দেশখালি
Sandeshkhali: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের জমি দখল করে ভেড়ি করেছেন সিদ্দিকি মোল্লা। শুধু তাই নয়, স্কুলের জমি দখল করে ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান বানিয়ে দিয়েছেন সিদ্দিকি।
সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহান এখন নেই। সিবিআই-রে গারদে প্রথম কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু এখনও শান্ত হয়নি সন্দেশখালি। এখনও সেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। শাহজাহান তো নেই, তাহলে বিক্ষোভ কীসের? শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর এবার তাঁর খাসতালুক বলে পরিচিত এলাকাতেও ক্ষোভ বাড়ছে। রামপুর বাগদিপাড়া মোড় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের নিশানায় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বেড়মজুর ২ অঞ্চলের প্রধান হাজি সিদ্দিকি মোল্লা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের জমি দখল করে ভেড়ি করেছেন সিদ্দিকি মোল্লা। শুধু তাই নয়, স্কুলের জমি দখল করে ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান বানিয়ে দিয়েছেন সিদ্দিকি। গ্রামবাসীরা তা নিয়ে আগে প্রশ্ন করলে, ‘শেখ শাহজাহানে’র জুজু দেখানো দেখিয়েছিলেন হাজি সিদ্দিকি। তাতেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ শাহজাহান যখন নেই, তখন তাঁরা ফের সেই প্রশ্ন তুললে, তাঁদের বলা হয়, শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই জমি দখল করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সন্দেশখালির বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের মহিলা-পুরুষরাষ স্কুলের জমিতে প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার ছেলের মোবাইলের দোকান কী ভাবে? প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “এখন শাহজাহান নেই। কিন্তু দুর্নীতি এখনও রয়ে গিয়েছে। তাঁদের চ্যালারা তো রয়ে গিয়েছে। জমি কীভাবে দখল হয়ে যায়?” অশান্তি এড়াতে বাগদি পাড়া মোড়ে প্রচুর বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
যদিও এক্ষেত্রে হাজি সিদ্দিকি মোল্লার বক্তব্য, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা সরকারি খাস জায়গা। কারোর কোনও কাগজপত্র নেই। সরকারিভাবে স্কুলের এক্তিয়ারে আছে। যেহেতু কারোর কোনও পাট্টা নেই। ওখানে তো ভেড়ি হয়নি। শুকনো হয়ে পড়ে রয়েছে। ওরা আমাকে বলেছিল, আমি বলেছিলাম, আমরা বসব। যদি তোমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকে, তাহলে জমি ফেরত দেব।” উল্লেখ্য, এই হাজি সিদ্দিকি মোল্লাই শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এবং শাহজাহান যখন পুলিশের চোখে ‘ফেরার’ ছিল, তখন এই প্রধানই সংবাদমাধ্যমের সামনে বুক চিতিয়ে বলেছিলেন, ‘এলাকাতেই রয়েছেন শাহজাহান।’ যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়।