TMC Joining: ‘২ হাজার সমর্থক যোগ দিয়েছে’, ছবি দেখিয়ে দাবি তৃণমূলের, ‘চাকরি বাঁচাতে নাটক’, জবাব বিজেপির
TMC Joining: তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, "মানুষ বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষ চায় উন্নয়ন। যা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারেন। তাই প্রায় দুই হাজার ভোটার তৃণমূলে যোগদান করল।
ময়নাগুড়ি: তৃণমূলের যোগদান মেলা। ময়নাগুড়ি জল্পেশ মেলার মাঠে গতকাল তৃণমূলের তরফে যোগদান মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, ধুপগুড়ির বিধয়াক নির্মলচন্দ্র রায়। সভামঞ্চে কিছু মানুষের হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, বিজেপি ছেড়ে প্রায় ২০০০ সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছে। এর ফলে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ময়নাগুড়ি বিধানসভা বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। বিজেপি অবশ্য এই যোগদান মেলাকে ভুয়ো বলে আক্রমণ করল। এই নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “মানুষ বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষ চায় উন্নয়ন। যা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারেন। তাই প্রায় দুই হাজার ভোটার তৃণমূলে যোগদান করল। আর এর ফল ছাব্বিশে হাড়ে হাড়ে টের পাবে বিজেপি।”
বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ পালটা দাবি করেন, “তৃণমূল নেতারা নিজেদের চাকরি বাঁচতে মাঝেমধ্যে দলবদলের নাটক করেন। সেই কথায় এর আগেই সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারাই। এর আগে তৃণমূল থেকে তৃণমূলে যোগদান হয়েছে। যা নিয়ে জলপাইগুড়ির এক মহিলা কাউন্সিলর প্রতিবাদ করেছেন। গত সপ্তাহে রাজগঞ্জে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে যোগদান করিয়েছিল। কিন্তু দুই ঘণ্টা যেতে না যেতেই ওই পঞ্চায়েত সদস্য আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। এখন শিবশঙ্কর দত্ত দাবি করছেন, দু’হাজার মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল। শিবশঙ্করবাবু তো বিজেপির লোক। কয়েকদিন আগেও উনি বিজেপিতে ছিলেন। তাঁর দলে যোগদান করা মানে বিজেপির ওই মানুষগুলোর ওপর তৃণমূলের আর অত্যাচার হবে না। তারা সুরক্ষিত থাকবে।”