AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shantanu Thakur: ‘বাবা মা তুলে গালাগালি করেছে’, বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর

Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, "২০২৪-এর ভোটের আগে সিএএ হবে এটা গ্যারান্টি। আর ভক্ত সমাজ বলতেই পারে রাজনীতির কথা বলবেন না। এটা কোনও অপ্রিয় কিছু না। তবে আমি এমন কিছু কথা বলেছি যা আমাদের সমাজের সঙ্গে জড়িয়ে। সেটা মানুষের চাহিদা। সিএএ আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার মাস্টার কি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই বক্তব্য রাখা।"

Shantanu Thakur: 'বাবা মা তুলে গালাগালি করেছে', বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর
শান্তনু ঠাকুর বক্তব্য রাখছেন।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2023 | 7:23 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: মতুয়া সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে এসে সিএএ নিয়ে বক্তব্য। আর তার জেরেই প্রতিবাদের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বৃহস্পতিবার বনগাঁর ট্যাংরা কল্যাণীতে মতুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শান্তনু ঠাকুর। সেখানেই ধর্মকথার পাশাপাশি সিএএ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাতেই বেজায় চটেন একাংশ। যদিও শান্তনু দাবি, তৃণমূলের লোকজন এসব করেছে। এমনকী খারাপ ভাষায় কথাও বলেছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এই ঘটনা ঘিরে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

মতুয়া ধর্ম মহাসম্মেলন ছিল এদিন বনগাঁর ট্যাংরায়। সেখানেই মাইক হাতে শান্তনু ঠাকুরকে সিএএ নিয়ে বলতে শোনা যায়। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য রাখা হয়ে গেলে কয়েকজন মতুয়াভক্ত তাঁর কথার প্রতিবাদ করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি শুরু হয়। মন্দির কমিটির সম্পাদক ফাল্গুন মালাকারের দিকে তিনি তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। ফাল্গুন মালাকারের দাবি, শান্তনু ঠাকুর খারাপ ভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। অথচ তিনি কিছুই বলেননি মন্ত্রীকে। সাধারণ মানুষই যা বলার বলেছেন।

শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, “২০২৪-এর ভোটের আগে সিএএ হবে এটা গ্যারান্টি। আর ভক্ত সমাজ বলতেই পারে রাজনীতির কথা বলবেন না। এটা কোনও অপ্রিয় কিছু না। তবে আমি এমন কিছু কথা বলেছি যা আমাদের সমাজের সঙ্গে জড়িয়ে। সেটা মানুষের চাহিদা। সিএএ আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার মাস্টার কি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই বক্তব্য রাখা। এটা রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, সমাজের চাহিদা হিসাবে বক্তব্য। সিএএ নিয়ে কথা বলায় এত কিছু। কারা করল বলতে পারব না। এখানে আছে তৃণমূলের কিছু সদস্য। বাবা মা তুলে গালাগালি করা হয়েছে।”

যদিও ট্যাংরার গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান স্বরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, “আমি এখানে এসে দেখি ঝামেলা হচ্ছে। জানতে চাইলাম কী হয়েছে? শুনলাম বাজে ভাষা ব্যবহার করেছেন উনি। মানুষ ক্ষুব্ধ। ঠাকুরবাড়ির মানুষ উনি আর এখানে ট্যাংরা হরি মন্দির এলাকার সবথেকে বড় অনুষ্ঠানে এসে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে এলাকার মতুয়ারাই ক্ষিপ্ত। এখানে তৃণমূলের রাজনীতির কিছুই নেই। ট্যাংরায় এ ধরনের রাজনীতি হয় না। হবেও না। ভোটের সময় ভোট। কিন্তু বছরভর সব মানুষ এখানে মিলেমিশে থাকেন। রাজনীতি থাকে না।”