Sandeshkhali: ন্যাজাটকাণ্ডে গ্রেফতার ঘাতক লরির খালাসি, এবার খোঁজ মিলবে ‘বড় মাথাদের’?
Sandeshkhali Case: গোলামের বাড়ি রাজবাড়ি পুলিশ ক্যাম্প লাগোয়া এলাকার শিমুলআটি গ্রাম। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরেই তাঁকে মূলত ট্র্যাক করে পুলিশ। তার দ্বারাই হাসনাবাদের খরমপুর কাঠুরিয়া পাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।

সন্দেশখালি: “যাদের নামে এফআইআর করেছি তারা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। আসামিরা এলাকায় দাপাদাপি করছে।” আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ভোলানাথ ঘোষ। তবে একইসঙ্গে প্রশাসনের উপর আস্থা রয়েছে বলেও জানান। ন্যাজাটকাণ্ডে আগেই ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন ভোলানাথ। সেখানে সস্ত্রীক শেখ শাহজাহান সহ নাম ছিল আব্দুল আলি মোল্লা ও নজরুল মোল্লার। আব্দুল আলি মোল্লা ঘাতক গাড়ির চালক। সেই পালিয়েছিল নজরুল মোল্লার বাইকে চড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও কুদ্দুস তরফদারকে গ্রেফতার করে। এবার গ্রেফতার করা হল ঘাতক লরির খালাসি গোলাম হোসেন মোল্লা।
গোলামের বাড়ি রাজবাড়ি পুলিশ ক্যাম্প লাগোয়া এলাকার শিমুলআটি গ্রাম। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরেই তাঁকে মূলত ট্র্যাক করে পুলিশ। তার দ্বারাই হাসনাবাদের খরমপুর কাঠুরিয়া পাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। জেরা শুরু করেছে পুলিশ। খুন নাকি নিছক দুর্ঘটনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে আগেই অভিযোগপত্রে শাহজাহান ও তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ভোলানাথ ঘোষ। তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার জেলে বসেই নাকি সব ষড়যন্ত্র করেছেন শাহজাহান। তারপরই মাঠে নামে তাঁর দলবল।
যদিও এদিন ধৃত গোলাম হোসেন মোল্লার বাড়ির সদস্যদের দাবি তাঁদের ছেলে সম্পূর্ণভাবেই নির্দোষ। তাঁর বাড়ি যেতেই মা রাহিলা বিবি বলছেন, আমার ছেলে লরির কাজ করে। ও সম্পূর্ণ নির্দোষ, ফাঁসানো হচ্ছে। শেখ শাহাজাহানের সঙ্গেও ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলছেন, এই ঘটনায় আমার ছেলে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। আমি চাই ও বাড়ি ফিরে আসুক।
