Dilip VS Kirti: কীর্তির গুগলি, দিলীপের ‘হেলিকপ্টার শট’- গ্যালারিতে খেলা দেখছেন দুর্গাপুরবাসী
Dilip VS Kirti:একদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "মেদিনীপুরে তো পিচ আমিই তৈরি করেছি। কোনও প্রশ্নই ছিল না। এখানে পিচ যাঁরই হোক, টিম যাঁরই হোক, ব্যাটসম্যান আমিই আছি।" পাল্টা আবার কীর্তি বললেন, "আমি তিনবারের সাংসদ। এখানে এলে তৃণমূলের সমর্থকরা ওনাকে শূন্যতেই আউট করবেন।" দিলীপ তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। ফের তিনি বললেন, "আর আমার এখানকার ফিল্ডারদের জোশই আলাদা। তাই জেতার জন্য খেলছি।"
দুর্গাপুর: এবার মেদিনীপুর নয়। দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর তাঁরই বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ। আর ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চরমে দুই প্রার্থীর বাকযুদ্ধ।
একদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “মেদিনীপুরে তো পিচ আমিই তৈরি করেছি। কোনও প্রশ্নই ছিল না। এখানে পিচ যাঁরই হোক, টিম যাঁরই হোক, ব্যাটসম্যান আমিই আছি।” পাল্টা আবার কীর্তি বললেন, “আমি তিনবারের সাংসদ। এখানে এলে তৃণমূলের সমর্থকরা ওনাকে শূন্যতেই আউট করবেন।” দিলীপ তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। ফের তিনি বললেন, “আর আমার এখানকার ফিল্ডারদের জোশই আলাদা। তাই জেতার জন্য খেলছি।” কথার ফুলঝুরিতে বাদ গেলেন না কীর্তিও। বললেন, “লড়াই দিলে তো মজাই লাগে। কিন্তু আমি বিশ্বাসী এখানকার মানুষের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পাব।”
দিলীপ ঘোষের দাবি মেদিনীপুরের মতো দুর্গাপুরও তাঁর চেনা মাঠ। বলেছেন, “এখানকার এলাকার লোক আমায় চেনেন। আমি যদি গ্রামে হাঁটি লোক ডেকে জিজ্ঞাসা করবে দিলীপদা কেমন আছেন।” সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, “উনি তৃণমূলও জানেন না, বর্ধমানও জানেন না।” দিলীপের বহিরাগত যুক্তিকে উড়িয়ে পাল্টা উত্তর দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “আমি তো দেশের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। তখন কি বাইরের কারোর জন্য জিতেছিলাম? বাংলার জন্য জিতিনি?”
তবে দিলীপ বলেছেন, তিনি ভাষণ দেওয়ার লোক নন। মাঠে নেমে কাজ করার লোক। সকাল থেকে বিকেল অবধি থাকবেন। প্রসঙ্গত, দিলীপ এবং কীর্তির এই লড়াই রাজনীতির ময়দানে নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ। কথার টক্করে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও ছাড়তে নারাজ। তবে গড় ধরে কে রাখবেন না সময়ই উত্তরই দেবে।