Durgapur CCTV: ৭টা বেজে ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা, তারপর…, টাইম-টু-টাইম ফুটে উঠল CCTV-তে
Paschim Bardhaman: ৭টা বেজে ৫৮ মিনিটে দু'জন বের হন। তারপর ৮টা বেজে ৪২ মিনিটে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার বন্ধু একা-একা ভিতরে ঢোকেন। এরপর পাঁচ থেকে থেকে ছ'মিনিট ক্যাম্পাসের বাইরের গেটের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। আবারও তিনি ঘটনাস্থলের দিকে চলে যান।

মধুকল্পিতা চৌধুরীর রিপোর্ট
দুর্গাপুর: ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দুর্গাপুর। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পলাতক আরও কয়েকজন। কিন্তু এখন নজরে রয়েছে ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সন্ধে ৭টা বেজে ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন নির্যাতিতা। আর রাত ৮টা বেজে ৪২ মিনিটে একা ফিরে আসেন ওই ছাত্রীর সহপাঠী।
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনাক্রম-
৭টা বেজে ৫৮ মিনিটে দু’জন বের হন। তারপর ৮টা বেজে ৪২ মিনিটে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার বন্ধু একা-একা ভিতরে ঢোকেন। এরপর পাঁচ থেকে থেকে ছ’মিনিট ক্যাম্পাসের বাইরের গেটের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। আবারও তিনি ঘটনাস্থলের দিকে চলে যান। এরপর ৯টা ২৯ মিনিটে দু’জনে ফিরে আসেন। আর ৯টা বেজে ৩২ মিনিটে মেয়েটি একা হস্টেলে ঢোকেন।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের জনসংযোগ আধিকারিক সুদেষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একজন পুরুষ ও একজন মহিলা পড়ুয়া ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যান। খানিক বাদে দেখা যায় ছেলেটি ফিরে আছেন। পরে মেয়েটির সঙ্গে ফিরে আসেন। তাঁরা কিন্তু তখনও কিছু জানানি। এরপর মেয়েটি এসে বলেন ফোন হারিয়ে গিয়েছে। আর তারপর তিনি জানান যে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষ-ডিনের সঙ্গে কথা বলা হয়। এখন ওই মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি।” পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মোট পাঁচজন। তবে নির্যাতিতা বাবার দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ছ’জন। অর্থাৎ সহপাঠীকেও আতসকাচের বাইরে রাখা যাচ্ছে না সেটাও বুঝিয়ে দেন নির্যাতিতার বাবা।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার গণধর্ষণের শিকার হয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। জানা গিয়েছে তিনি তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন। তখনই জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী আসে। নির্যাতিতাকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
