AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja in Mahalaya: মহালয়াতেই সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীর পুজো, একদিনেই বিসর্জন! এমনটাই হচ্ছে বাংলার এই পুজোয়

Puja in Mahalaya: এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। শোনা যায় তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজো চালু করেছিলেন। বছর দশেক আগে সেবাইত জ্যোতিন মহারাজও অবশ্য মারা যান। তারপর থেকেই পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Durga Puja in Mahalaya: মহালয়াতেই সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীর পুজো, একদিনেই বিসর্জন! এমনটাই হচ্ছে বাংলার এই পুজোয়
পুজোর আবহ গোটা গ্রামে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2025 | 1:07 PM
Share

আসানসোল: মহালয়াতেই পুজো শুরু, মহালয়াতেই শেষ। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই হয়ে আসছে বার্নপুরের হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে। দামোদর নদের তীরে এখানেই রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। মহালয়ায় সেখানেই মহাধুমধাম করে হয়ে গেল পুজোর আয়োজন। রবিবার মহালয়ার ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো। একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী। পুরোহিতের দাবি, বিভিন্ন ক্ষণ অনুযায়ী পুজোর লোকাচারগুলি হয়। চার ধরনের ভোগ করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মাতৃপ্রতিমা কিন্তু রেখে দেওয়া হয়।  

কিন্তু কেন এরকম পুজো? কেন একদিনেই বিসর্জন? 

এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। শোনা যায় তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজো চালু করেছিলেন। বছর দশেক আগে সেবাইত জ্যোতিন মহারাজও অবশ্য মারা যান। তারপরই এই পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন গ্রামের লোকজন। প্রত্যক বছর সেই পুরনো রীতি মেনেই হয়ে আসছে পুজো। তাই মহালায়াতেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম। তবে আগাম পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেও মনে খানিক বিষাদের ছায়াও রয়ে যায় এলাকার বাসিন্দাদের। কারণ ওই যে,  তাই পুজোর গন্ধ যখন দিকে দিকে, যখন বোধনের আরও একসপ্তাহ বাকি তার আগে একদিনেই এখানে পুজো শেষ! 

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ১৯৩৭ সালে এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। এই আগমনী দুর্গাপুজো শুরু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে। একদম প্রথমদিকে আগমনী দুর্গার রূপ ছিল অগ্নিবর্ণা, পরবর্তীতে স্বেতশুভ্র, এখন রং বাসন্তী। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনী দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া।