Dugra Puja With Pulse: শুধু মাটিই নয়, হোগলা পাতা কিংবা ফলের বীজেও প্রতিমা গড়েন হলদিয়ার সুভাষ জানা
Dugra Puja With Pulse: ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরেই হাতেখড়ি হয় হলদিয়ার মৃৎশিল্পী সুভাষ জানার। আজ এটাই তাঁর পেশা। পরিবারের সকলেই নিজেদের মতো করে পাশে থাকেন শিল্পীর। কখনও কখনও ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনার ফাঁকে তাঁকে সাহায্য় করে।
হলদিয়া: মাঝে আর ২ দিন। তারপরই মহালয়া। আর মহালয়া থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা যাওয়া শুরু। এখন অবশ্য মহালয়ার আগেই বহু মণ্ডপে প্রতিমা চলে যায়। পুজো মানেই প্রতিমাশিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। পালস ক্যান্ডি ও টিভিনাইন বাংলার যৌথ উদ্যোগে পুজোয় পালস সিজন-২ শুরু। আর এবারের পুজোয় পালস-এ সম্মানিত করা হচ্ছে সেই প্রতিমাশিল্পীদেরও, যাঁদের রং তুলির ছোঁয়ায় মৃণ্ময়ী হয়ে ওঠে ভাস্বর।
১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরেই হাতেখড়ি হয় হলদিয়ার মৃৎশিল্পী সুভাষ জানার। আজ এটাই তাঁর পেশা। পরিবারের সকলেই নিজেদের মতো করে পাশে থাকেন শিল্পীর। কখনও কখনও ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনার ফাঁকে তাঁকে সাহায্য় করে।
সুভাষ জানার কথায়, “বাড়িতে বাবা, কাকা সকলেই মাটির কাজ করতেন। ছোটবেলায় পড়াশোনা করতে করতেই আমারও এই কাজে আসা। এ বছর ৩০টি প্রতিমা তৈরি করছি।” কাচের তৈরি প্রতিমার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের বীজ, হোগলা পাতা দিয়েও প্রতিমা তৈরি করেন সুভাষবাবু। এমনকী চায়ের ভাঁড় কিংবা জড়ি দিয়েও প্রতিমা গড়েন তিনি। এই শিল্পী সম্মানে খুশি মৃৎশিল্পী সুভাষ জানা।
সুভাষ জানা বলেন, “আমাদের সরকারি ভাবে বা কোনও ক্লাব থেকে পুরস্কার দিতে দেখেছি। কিন্তু আজ টিভিনাইন বাংলার এই সংবর্ধনায় খুবই আনন্দিত।”