Ghatal: ফের বন্যা? ভয়ে সিঁটিয়ে আছে ঘাটাল
Ghatal Flood Situation: বর্ষার শুরু থেকেই বারবার ডুবেছে ঘাটাল-সহ আশপাশের এলাকা। এসেছে মৃত্যুর খবরও। বানভাসি ঘাটালকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরও কম হয়নি। এবার ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।

ঘাটাল: পুজোর আগেও দুর্যোগ, পুজোর পরও ছবিটা বিশেষ বদলায়নি। চলেছে একটানা বৃষ্টি। এদিকে তার উপর জল ছেড়েই চলেছে ডিভিসি। সব মিলিয়ে বর্ষা বিদায়ের মুখেও নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে। অতিরিক্ত জল টেনে ফুঁসছে একাধিক নদী। চন্দ্রকোনার শিলাবতি, কেঠিয়া, ঘাটালের শিলাবতি ঝুমি বিভিন্ন এলাকার নদীর জল স্তর পৌঁছেছে এক্কেবারে কানায় কানায়। যার জেরে ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন ঘাটাল-চন্দ্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাথায় হাত কৃষকদের। তাঁরা বলছেন ফের বন্যা হলে ধান চাষের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এদিকে বর্ষার শুরু থেকেই বারবার ডুবেছে ঘাটাল-সহ আশপাশের এলাকা। এসেছে মৃত্যুর খবরও। বানভাসি ঘাটালকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরও কম হয়নি। এবার ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যে ঘাটাল ব্লকের মোহনপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ইতিমধ্যেই নদীগুলির অবস্থা ঘুরে দেখেছেন। স্থানীয় মানুষদের সতর্ক করে চলেছে প্রচারাভিযান। স্থানীয় প্রশাসন যদিও বলছে সবদিকেই তাঁদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
এদিকে শনিবারও ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েই চলেছে ডিভিসি। শুক্রবার ডিভিসির দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ যে বুলেটিন সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে মোট ৭০ হাজার কেউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়। শনিবার সকাল সাতটা থেকে ৭৩,৬৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। এদিকে নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি চলছে ঝাড়খণ্ডে। ফলে চাপ বেড়েছে ডিভিসির জলাধারগুলিতে। সে কারণেই আরও বেড়ে চলেছে জল ছাড়ার পরিমাণ।
ফলে আরও জটিল হয়েছে হাওড়া, হুগলির বিস্তৃর্ণ এলাকারও। জল বাড়ছে হাওড়া ও হুগলির দামোদরের কাছাকাছি থাকা এলাকাগুলিতে। ভয় বাড়ছে খানাকুল, আরামবাগের বড় এলাকারও। এখন দিনের শেষে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটাই দেখার।
