Ghatal News: ঘাটালে কি এবার নৌকো চলবে না? নৌকো মালিকদের হুঁশিয়ারিতে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের

Ghatal News: সেই নৌকো ভাড়া সঠিকভাবে না মেলায় নৌকো মালিকদের হুঁশিয়ারি এই বৎসর তারা নৌকো দেবে না। ঘাটাল ব্লকের নৌকা মালিকদের অভিযোগ ভাড়ার টাকা বছর গড়াতে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ টাকা মেলেনি, তাই তারা ঠিক করেছে তারা আর নৌকো ভাড়ায় দেবে না।

Ghatal News: ঘাটালে কি এবার নৌকো চলবে না? নৌকো মালিকদের হুঁশিয়ারিতে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের
ঘটালে বিপত্তিতে ব্লক প্রশাসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 9:38 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্ষা এসে গিয়েছে। বন্যার আশঙ্কা থাকছে। বৃহস্পতিবার নৌকো ভাড়া টাকা না মেলার অভিযোগ তুলে সরব নৌকো মালিকরা। তাঁদের হুমকি, চলতি বছরে বন্যায় নৌকো দেবে না, আর এতে অস্বস্তিতে ঘাটাল ব্লক প্রশাসন। উল্লেখ্য, বন্যা আসলে প্রতিবছর ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় বন্যায় বেশ কিছু দিন ধরে জলমগ্ন এলাকা। জলের তলায় ডুবে থাকে একাধিক ব্লক,বিশেষ করে ঘাটাল ব্লকের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, ঘাটাল পৌর এলাকা, এমনকি রাজ্য সড়কে জলের তলায় ডুবে যায়, সেই সময় ঘাটাল মানুষের যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন হয়ে থাকে নৌকো।

সরকারিভাবে বন্যা কবলিত মানুষকে নৌকো পরিষেবা দেয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত, পৌরসভা, পূর্ত দফতর এমনকি পুলিশ প্রশাসন নৌকো ভাড়া নেয় বন্যা কবলিত গ্রামবাসীর কাছে । সেই সময় শুধু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নৌকো ভাড়া গুনতে হয় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। আর সেই নৌকো গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভাড়া দিয়ে বছর ঘুরে আবার বর্ষা এলেও সঠিকভাবে টাকা না মেলায় নৌকো মালিকদের হুঁশিয়ারি, তাঁরা নৌকো দেবেন না এই বছর বন্যায়।

ঘাটাল ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল ব্লকের ১২ টির মধ্যে ৯ টি অঞ্চলের এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেয়ার জন্য ৫০ থেকে ৫২ টি নৌকো ভাড়া নেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। সেই নৌকো ভাড়ার ক্ষেত্রে অর্থ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বহন করে, একটি নৌকা ভাড়া ১৬০০ টাকা প্রতিদিন, যা একেবারেই কম।

সেই নৌকো ভাড়া সঠিকভাবে না মেলায় নৌকো মালিকদের হুঁশিয়ারি এই বৎসর তারা নৌকো দেবে না। ঘাটাল ব্লকের নৌকা মালিকদের অভিযোগ ভাড়ার টাকা বছর গড়াতে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ টাকা মেলেনি, তাই তারা ঠিক করেছে তারা আর নৌকো ভাড়ায় দেবে না। শুধু তাই নয়, তাদের যেটা অভিযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তাই নৌকো ভাড়া বাড়াতে হবে নৌকো ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে একাধিক দফতরের একাধিক ভাড়া।

বন্যার সময় পূর্ত দফতর যে নৌকা ভাড়া নেয় তারা প্রতিদিন ভাড়া দেয় ২৬০০ টাকা। আর পঞ্চায়েতের নৌকোর ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ১৬০০ টাকা ভাড়া দেয়।  একটি নৌকোর মেরামতের করতে প্রতি বৎসর খরচার খরচ হয় প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা। ক্যামেরার সামনে কেউ না বললেও ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর পূর্ত দফতর ও পৌরসভার তরফ থেকে যে নৌকাগুলি ভাড়া নেওয়া হয় বন্যার সময় তাঁদের প্রতিদিন ভাড়া ও মজুরি হিসেবে দেয়া হয় ২৬০০ টাকা। সেই তুলনায় গ্রাম পঞ্চায়েতে একে বারেই কম।

যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি তিনি বলেন, “বন্যার সময় নৌকা নেওয়ার ক্ষেত্রে নৌকো মালিকরা না যদি টাকা পায় বিষয়টি দেখা হবে। মালিকরা নৌকো না দিলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে, বন্যা কবলিত ঘাটাল মানুষজনকে, তাই আমরা দ্রুত দেখব। কেউ যদি টাকা না পায়, তাঁদের দ্রুত টাকা দেওয়ার।” অপরদিকে তিনি স্বীকার করেন যে, টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ভাড়া বাবদ বহন করে সেটা একেবারেই নগন্য। একটা নৌকোর ক্ষেত্রে ভাড়া আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন ।

এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক আয়েসা রানিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, “সমস্ত বিষয়টি মহকুমাশাসক ও বিডিও-দের বলা হয়েছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য।”

এ বিষয়ে ঘাটালের বিডিও ত্রিদীপ রায় বলেন, “ব্লক প্রশাসনের কাছে টাকা না পাওয়ার কোনও তথ্য নেই। যদি কারও টাকা বকেয়া থাকে তাহলে সে যেন ব্লক বিডি অফিসে যোগাযোগ করেন।”