Ghatal: করোনার থাবা ঘাটাল মহকুমায়! স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরাও
Paschim Medinipur: নতুন করে ৬ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে মোট ১৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন।
ঘাটাল: দেদার বেড়েছে সংক্রমণ। শুধু কলকাতা নয় পাশাপাশি জেলায়ও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন হাজারের বেশি। এর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা। ইতিমধ্যে সেখানে পনেরো জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত। পাশাপাশি দাসপুর থানার দুই পুলিশ কর্মী আক্রান্ত। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিঘ্ন প্রশাসন।
দিন দিন বেড়েই চলেছে ঘাটালের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে সুপার সহ মোট ৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবারও নতুন করে ৬ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে মোট ১৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের ।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটাল থানার উদ্যোগে বাজারে ভিড় সামাল দিতে প্রগতি বাজারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার হাটে মানুষ জনকে বেরোনোর জন্য মাইকে প্রচার করে সচেতন করছে ঘাটাল থানার পুলিশ। ঘাটালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস সকলকে করোনা বিধি মেনে চলার ও সচেতন থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
কিন্তু এরপরও কি হুঁশ ফিরছে সাধারণের? বলা বাহুল্য না। আজ কুঠী বাজারে ঘাটাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাংশু ভৌমিক পুলিশকর্মীদের নিয়ে অভিযান চলান বাজারে। দোকানদার থেকে খরিদ্দার মোট ৫০ জনকে মাস্ক না পরায় আটক করা হয়। বাজারে আসা অনেককেই সচেতন করে ছেড়ে দেওয়া হয় এদিন।
প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়। জেলায়-জেলায় একই ছবি ধরা পড়েছে। করোনাকে কাবু করতে কামারহাটি পৌরসভা সিদ্ধান্ত নিল আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে কামারহাটি পৌরসভা এলাকার বাজার বন্ধ থাকবে। ভাগ-ভাগ করে বাজারগুলিকে বন্ধ রাখা হবে।
এক থেকে সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের বাজার গুলি সোম বুধ শুক্র বন্ধ থাকবে। সতেরো থেকে পঁয়ত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারগুলি মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি এই তিন দিন বন্ধ থাকবে।
এবার পৌরসভার সিদ্ধান্তে বাজারের বিক্রেতাসহ ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেউ বলছেন পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত সময়কালে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ> আমরা পৌরসভার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। আবার কেউ বলছেন তিনদিন খোলা রেখে চার দিন বন্ধ করে করোনা আদৌ কমবে কি? পাশাপাশি কিন্তু পুরসভার সঙ্গে একমত হলেও ক্ষতির আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বাজারে প্রত্যেক সবজি বিক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: Sealdah COVID Camp: মূল লক্ষ্য গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীরা, শিয়ালদহে স্টেশনে চালু কোভিড ক্যাম্প!