Hiran Chatterjee: সৌজন্যতার বার্তা! তৃণমূল প্রার্থীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে মনোনয়ন জমা দিলেন হিরণ

Kharagpur Nomination Filed: শাসকদলের জওহর পাল বলেন, "সৃষ্টি কর্তা ঠিক করে রেখেছেন কী হবে না হবে। তাই কারোর আর্শীবাদ বা অভিশাপে কিছু হবে না।

Hiran Chatterjee: সৌজন্যতার বার্তা! তৃণমূল প্রার্থীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে মনোনয়ন জমা দিলেন হিরণ
তৃণমূল প্রার্থীর পা ছুঁয়ে প্রণাম হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2022 | 5:12 PM

খড়গপুর: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। জেলায়-জেলায় এদিন প্রার্থীদের দেখা গেল মহকুমা শাসকের অফিসে এসে জমা দিতে। তবে জমা দেওয়ার মধ্যেই সারাদিন চলল নানা নাটকীয়তা। কোথাও শাসকদল সবুজ আবির উড়িয়ে উৎসবের মেজাজে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। কোথাও আবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার। এই সকল অবস্থার মধ্যেই আজ মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির প্রার্থী তথা বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় । বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে, বিরোধী প্রার্থী পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে মনোনয়ন দিতে দেখা গেল তাঁকে।

এইবছর খড়গপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন হিরণ। অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই বুধবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর এসডিও অফিসের সামনেই হঠাৎ মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় ওই ওয়ার্ডেরই বিরোধী প্রার্থী অর্থাৎ শাসকদলের প্রবীণ নেতা জহর পালের সঙ্গে। এক মুহুর্ত দেরি না করেই সঙ্গে-সঙ্গে এগিয়ে জওহর পালের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে তাঁর কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নেন হিরণ। সৌজন্যতার অনন্য নজির গড়ে তোলেন তিনি।

এদিন হিরণ বলেন, “দল যেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করছি। দল বলেছে খড়গপুর থেকে দাঁড়াতে আমি দাঁড়িয়েছি। দল হয়ত কিছু ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল যা বলবে মাথা নীচু করে আমায় তাই মেনে নিতে হবে। জহরদা আমার পিতৃতুল্য মানুষ। তাঁকে প্রণাম করলাম প্রত্যেকের সামনে। তিনি যদি আমার জমানত জব্দ করেন তাহলে তা আমার কাছে সৌভাগ্যের। আমি কখনই রাজনীতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে গুলিয়ে ফেলি না। আমার মনে হয় মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

অন্যদিকে, শাসকদলের জওহর পাল বলেন, “সৃষ্টি কর্তা ঠিক করে রেখেছেন কী হবে না হবে। তাই কারোর আর্শীবাদ বা অভিশাপে কিছু হবে না। বিধান ঠিক হয়েই আছে। মানুষ শেষ কথা বলবে।”

প্রসঙ্গত, খড়গপুর সদরের বিধায়ক তথা বিজেপির অন্যতম তারকা মুখ হিরণকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছিল। শোনা যাচ্ছিল, ক্রমশ দলের অন্দরে গুরুত্ব হারাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর নিজের এলাকাতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী চাপ বাড়াচ্ছিল বলেও সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে বঙ্গ বিজেপির  হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান তিনি। আর তারপর পুরসভা নির্বাচনে কনভেনর বা আহবায়ক পদ দেওয়া হয় হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা