UPDATE Abhishek Banerjee: ‘আমরাই করব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’, দেবকে পাশে নিয়ে বললেন অভিষেক

Ghatal: অভিষেক বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্যই করবে, কেন্দ্রের টাকা আর আমাদের লাগবে না। আর এবারও বাড়ির ক্ষেত্রে যে পঞ্চায়েত, যে বিধানসভা থেকে বাংলার লড়াইয়ে মানুষ বাংলার হাত শক্তিশালী করবেন, সেখানকার যাঁরা বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ইনস্টলমেন্টের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। বাংলার সরকার দেবে।

UPDATE Abhishek Banerjee: 'আমরাই করব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান', দেবকে পাশে নিয়ে বললেন অভিষেক
দেবের সমর্থনে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Apr 07, 2024 | 5:44 PM

ঘাটাল: ঘাটালে দেবের হয়ে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ঘাটালে রোড শো করেন তিনি। আর সেখান থেকেই বুঝিয়ে দেন, এবার ভোটের ইস্যু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এদিন ঘাটালের প্রচার থেকে একযোগে বিজেপি, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়েও সুর চড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেবকে পাশে নিয়ে যা বললেন অভিষেক

  1. আবাস যোজনা, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, লক্ষ্মীভাণ্ডারকে সামনে রেখেই ভোট হোক। ৪ তারিখ ভোটবাক্স খোলার সময় পদ্মফুল যেন চোখে সর্ষেফুল দেখে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে।
  2. ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্যই করবে, কেন্দ্রের টাকা আর আমাদের লাগবে না। আর এবারও বাড়ির ক্ষেত্রে যে পঞ্চায়েত, যে বিধানসভা থেকে বাংলার লড়াইয়ে মানুষ বাংলার হাত শক্তিশালী করবেন, সেখানকার যাঁরা বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ইনস্টলমেন্টের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। বাংলার সরকার দেবে।
  3. বাংলা বিরোধীদের বিসর্জনের খুঁটি পুজোটা ৭ এপ্রিল ঘাটালের মাটিতে করে গেলাম। বিসর্জনের দিন আমি আসব দরকার হলে। দুর্গাপুজোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাংলাজুড়ে সব রেজিস্টার্ড ক্লাবগুলিকে সাহায্য করেন, তখন এই বিজেপি আর সিপিএম হাইকোর্টে গিয়ে PIL করে। যাতে ক্লাবেরা টাকা না পায়। এখন এদের বড় বড় ভাষণ।
  4. বিজেপি এখানে কাকে দাঁড় করিয়েছে, আমার দফতরে এসেছিল ৬-৭ মাস আগে। দরজা বন্ধ করে দিয়েছি, ঢুকতে দিইনি। তারও সিসিটিভি আছে। তাঁকেও বলব প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলতে নেই।
  5. ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণা হয়। ২৬ মার্চ বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইএর এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে কলকাতায় ৫২ মিনিট বৈঠক করেছেন। ২৬ তারিখ বৈঠক, ২৭ তারিখ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর আর পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকদের এনআইএ নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে। উনি বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমি বললাম নোটিসটা পাঠান। কারণ, নোটিস পাঠালে সিসিটিভি ফুটেজটা সামনে ছাড়ব। সেটাও হাতে আছে। তথ্য পরিসংখ্যান নিয়েই কথা বলছি।
  6. যে বাংলার হয়ে লড়ছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের হয়ে লড়ছে তাঁকে ইডি সিবিআই ডেকে পাঠাচ্ছে। আর যাকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে আরও তোলাবাজি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আজ তো এনআইএ-র পর্দা ফাঁস করে দিয়েছি।
  7. ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পৌঁছে দিয়েছে। এ মাসে ১ এপ্রিল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ডবল হয়েছে। আগামী ২৫ মে ঘাটালের এক একটা ভোট ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের স্বার্থে। যাতে ২০ লক্ষ কৃষক উপকৃত হন।
  8. আমি কথা দিয়ে কথা রাখার ছেলে। আজ ক্য়ামেরার সামনে বলে যাচ্ছি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেখাব। কারও দয়া দাক্ষিণ্যে বাংলার মানুষ বেঁচে নেই।
  9. দেব আমাকে বলেছিলেন, দু’বার ঘাটালের মানুষ তাঁকে জিতিয়েছে। কিন্তু তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দিতে পারেননি। তাই দেবের অভিমান হয়েছিল। দিদি বলেছেন, তিনিই করে দেবেন মাস্টার প্ল্যান।
  10. ২০১৮ সালে ১৮ জুলাই মেদিনীপুর কলেজিয়েট ময়দানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সভা করে বলেছিলেন কৃষকদের জন্য উন্নয়ন করতে আমার সরকার বদ্ধ পরিকর। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর, পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির কৃষকের চোখে জল কেন? কারণ চন্দ্রকোনা থেকে ঘাটাল, ডেবরা থেকে দাসপুর, আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকায় দু’দিন বৃষ্টি হলে বুক অবধি জল নিয়ে রাস্তায় থাকতে হয় মানুষকে। কষ্ট করে চাষ করে ধান ফলান, দু’দিনের বৃষ্টিতে লক্ষ লক্ষ কৃষকের ধান বৃষ্টির জলে খারাপ হয়ে যায়। দামোদর, শিলাবতী, কংসাবতী, কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীগুলি থেকে জল এসে জমি নষ্ট করে দেয়।
  11. ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। কেন তা দেয়নি? আর এই মেদিনীপুরের বীর সন্তান বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি যে উত্তর কলকাতায় বিজেপির মিছিলের দিন ভাঙা হয়েছিল, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯-এর ১৪ মে ভাঙা হয়। এই জন্য আমরা বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলছি।
  12. ২০২১ সালে অনেক দল ভাঙানির খেলা খেলে বিভ্রান্তিকর প্রচার করে, মিথ্যা বলে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল কেউ কেউ। তবে মেদিনীপুরের মাটি তা আটকে দেয়। আজও বিজেপি বড় বড় হুমকি দিচ্ছে, চমকানি দিচ্ছে। এখানকার মানুষকে বলব বিজেপি নেতারা যখন এ এলাকার মানুষের কাছে ভোট চাইতে আসবে দু’টো কথা জিজ্ঞাসা করবেন।
  13. দীর্ঘক্ষণ রাস্তা আটকে মিটিং করা ঠিক নয়। আমি সংক্ষিপ্তভাবে আমার বক্তব্য রাখব। ২০২১ সালে এই রাস্তা দিয়েই আমি রোড শো করি। ফেব্রুয়ারি মাসে। ভোট ঘোষণার আগে। সেদিন যে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখেছিলাম, তার অন্তত তিন গুণ আজকের মিছিলে লক্ষ্য করেছি।