AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip-Sukanta: ‘দিলীপদাকেই রাজ্য সভাপতি করতে হবে’, সুকান্তর সামনেই চিৎকার BJP কর্মীর, হাত উঠিয়ে পাল্টা রাজ্য সভাপতি বললেন…

Sukanta-Dilip: বস্তুত, গতকাল দলের সব নেতা-কর্মী ক্ষোভ বিক্ষোভ শোনেন সুকান্ত-দিলীপ। কার্যত করজোড়ে তিনি কর্মীদের আবেদন করেন একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার। উদাহরণ হিসাবে সুকান্ত তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষের সময়কার উদাহরণ।

Dilip-Sukanta: 'দিলীপদাকেই রাজ্য সভাপতি করতে হবে', সুকান্তর সামনেই চিৎকার BJP কর্মীর, হাত উঠিয়ে পাল্টা রাজ্য সভাপতি বললেন...
মঞ্চে দিলীপ-সুকান্তImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2024 | 3:25 PM
Share

খড়গপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে শনিবার বিজেপি-র কার্যকর্তাদের নিয়ে তখন মিটিং চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মিটিং সেই সময় একদম শেষের মুখে। হঠাৎ করেই একজন বিজেপি কর্মী বলেন উঠলেন, ‘দিলীপদাকে রাজ্যসভাপতি করতে হবে…।’

বস্তুত, গতকাল দলের সব নেতা-কর্মী ক্ষোভ বিক্ষোভ শোনেন সুকান্ত-দিলীপ। কার্যত করজোড়ে তিনি কর্মীদের আবেদন করেন একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার। উদাহরণ হিসাবে সুকান্ত তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষের সময়কার উদাহরণ। সভা শেষ হতেই আচমকা দেখা যায় এক কর্মী বলে বসেন, ‘দিলীপদাকে রাজ্যসভাপতি করতে হবে…দিলীপদাকে রাজ্যসভাপতি করতে হবে…তবেই বাংলার সিংহাসন আমরা পাব।’ এরপর সুকান্ত হাত দেখিয়ে ওই কর্মীকে থামিয়ে আশ্বাস দেন। বলেন, ‘করে দেব…।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হন তিনি। যা কার্যত মেনে নিতে পারেনি খোদ সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীদের মতো বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব। সুকান্ত নিজেও বলেন, ‘দিলীপদার কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্ত হয়ত ঠিক হয়নি…’ একা দিলীপের পরাজয় নয়, চব্বিশের ভোটে রেজাল্টও ভাল করেনি পদ্ম-শিবিরের। আসন সংখ্যা কমেছে তাঁদের। ২০১৯-এ দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি পেয়েছিল ১৮জন সাংসদকে। সেখানে এবার আসন হারানোয় কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সভাপতি সুকান্তকে। কানাঘুষো এও উঠে আসে দিলীপ ঘোষ থাকলে হয়ত রেজাল্ট আরও ভাল হত। তবে সুকান্তকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি রাজ্য সভাপতি। খারাপ ফলের দায় তো আমাকেই নিতে হবে…।’ এই আবহে আচমকা কর্মীদের এমন দাবি পদ্ম শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলল কি না তার উত্তর যদিও মেলেনি।