Debra: রোগীকে খাটিয়ায় চাপিয়ে হাসপাতালে ছুটেও হল না শেষ রক্ষা! রাস্তার দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ স্থানীয়দের

Bad Road: "চাই না লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar), চাই না কন্যাশ্রী (Kanyashree), রূপশ্রী (Rupashree), চাই সার্বিক উন্নয়ন। চাই এলাকার রাস্তাঘাট।'' এক মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যুতে এই দাবিই উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকে সত্যপুর অঞ্চলের মির্জাপুর সংসদে।

Debra: রোগীকে খাটিয়ায় চাপিয়ে হাসপাতালে ছুটেও হল না শেষ রক্ষা! রাস্তার দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ স্থানীয়দের
খাটিয়ায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগীকে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 3:49 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: “চাই না লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar), চাই না কন্যাশ্রী (Kanyashree), রূপশ্রী (Rupashree), চাই সার্বিক উন্নয়ন। চাই এলাকার রাস্তাঘাট।” এক মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যুতে এই দাবিই উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকে সত্যপুর অঞ্চলের মির্জাপুর সংসদে।

স্বাধীনতার পর ৭৬ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁরা রাস্তা দেখতে পেলেন না অভিযোগ মির্জাপুরে। বর্ষার মধ্যে কোনও গাড়ি চলাচল করার মতো অবস্থা নেই। তাই খাটিয়ায় চাপিয়ে এক অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন প্রতিবেশীরাও। ঘেমেনেয়ে ওই ভাবে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেও লাভ হল না। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, একটু আগে যদি তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি করতে পারতেন,হয়ত বাঁচানো যেত। শুধু রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্যই প্রাণ হারাতে এল একজন মানুষকে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের ওই এলাকায়।

না, এবার ডেবরা ব্লকের এই এলাকায় কোনও বন্যা হয়নি। শুধুমাত্র রাস্তা খারাপের জন্যই অসুস্থ একজন মানুষকে খাটিয়ায় তুলে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয় পরিবার ও প্রতিবেশীদের। ডেবরা ব্লকে তিন নম্বর সত্যপুর অঞ্চলের চকপ্রসাদ গ্রামের অসুস্থ মনোজ কুমার মণ্ডল-কে এইভাবেই খাটিয়াতে করেই নিয়ে যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যু হয় তাঁর।

এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, হয়ত বা হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মনোজবাবুর। রাস্তার বেহাল দশার কারণেই হাসপাতালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারলেন না তাঁরা। মনোজবাবুর পরিবার সহ গ্রামের লোকজন এ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন।

গ্রামের মানুষদের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়ত প্রশাসন প্রত্যেককে জানিয়েও আজ অবদি একটা রাস্তা হল না। কোনো কাজ হয়নি। তাই মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে বারবার জানিও মেলেনি সুরাহা বলেই দাবি এলাকাবাসীর। আঙুল উঠেছে বর্তমান তৃণমূল সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দিকে।

অভিযোগ, যে রাস্তার ওপর একটা গোটা গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল সেই রাস্তার দিকে ফিরেও তাকাননি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে জনপ্রতিনিধি। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে এলাকাবাসীর। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয় কাঁধে করে। যদিও এখন স্কুল বন্ধ তো সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু এমন রোগীদের নিয়ে কী করবেন? এবাবে সবাইকে খাটিয়ায় তুলে হাসপাতালে ছুটতে হবে? প্রশ্ন স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী দূরে থাক, আগে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা হোক।

পঞ্চায়েত প্রধান পিয়ালী পাত্র সিংহের বলেন, “অতি বর্ষণের ফলে সমস্ত রাস্তারই বেহাল দশা। দু কিলোমিটার রাস্তা, এত লং আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা যাতে অন্য জায়গা থেকে করতে পারি তার চেষ্টা করব।” তিনি আরও যোগ করেন, এই রাস্তার কথা নেতৃত্বের অজানা নয়। কিন্তু তিনি তো মাত্র দু বছর এসে কীভাবে করবেন, প্রশ্ন তাঁর। অন্য কোনও ফান্ড থেকে যদি করা যায় তার চেষ্টা করবেন বলেই দায় সেরেছেন তিনি।\

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!