Paschim Medinipur: ইংরেজিতে মাস্টার্স, চাকরি তাঁকে টানে না, চুরির সংখ্যা ১৭০! চোরের ‘বায়োডেটায়’ চোখ কপালে পুলিশের

Thief: ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। রেলে চাকরিও করতেন। কিন্তু চাকরি তাঁকে টানে না।

Paschim Medinipur: ইংরেজিতে মাস্টার্স, চাকরি তাঁকে টানে না, চুরির সংখ্যা ১৭০! চোরের 'বায়োডেটায়' চোখ কপালে পুলিশের
চোরকে ধরে তাজ্জব পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 11:50 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। রেলে চাকরিও করতেন। কিন্তু চাকরি তাঁকে টানে না।  কোনও দিনই দশটা পাঁচটার কাজ ভাল লাগেনি! ভাল লাগে চুরি করতে! চাকরি ছেড়ে চুরির নেশাকে পেশা করে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে হাতও পাকিয়ে ফেলেছেন ‘মহাবিদ্যায়’। একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনই ‘বিদ্বান চোর’কে ধরে তাজ্জব পুলিশ।

সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীর একটি ফ্ল্যাট থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হন এক যুবক। ধৃতের নাম সৌমাল্য চৌধুরী। বাড়ি আসানসোল এলাকায়। ধৃত যুবকের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের।

ঘাটালের কোন্নগর এলাকার একটি আবাসন মহাশ্বেতা দে নামে এক বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী থাকেন। গত ৩ জানুয়ারি তাঁর আবাসনের গেটের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি হয়। সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক -এর নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পাকড়াও করে চোরকে। সেই চোর পরিচয় দেখে চোখ কপালে পুলিশের। ইংরেজিতে মাস্টার্স করা চোরের নাম সৌমাল্য চৌধুরীকে। ধৃতকে সোমবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে।

এই প্রসঙ্গে ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘এমন অদ্ভুত শখ বা পেশা বেছে নেওয়া দেখে আমি তো অবাক। ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন উনি। গত বছর হাওড়ায় এক চুরির ঘটনায় ধরা পড়ার পর তাঁর চাকরি চলে যায়। ভদ্র পরিবারের ছেলে। ছেলে চোর হয়েছে জেনে মা আত্মহত্যা করেছেন। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

সূত্রের খবর, অত্যন্ত সচ্ছল পরিবারে জন্ম। বাবা পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বাড়ির একমাত্র সন্তান সৌমাল্যও আসানসোলেই থাকতেন। ইংরেজিতে মাস্টার্স করার পর বাবা ছেলের জন্য খড়্গপুরে রেলের একটি অস্থায়ী কাজও জুটিয়ে দেন বলে খবর। পুলিশি জিজ্ঞসাবাদে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৈমাল্য সাফ জানান, চাকরি তাঁর ভাল লাগছিল না। তাঁর স্বপ্ন চোর হবেন! চুরিকে পেশা করবেন। তাই আসানসোলে বাড়ির উল্টো দিকের এক ফুল দোকানির কাছে চুরির শিক্ষা নেন। তার পর একের পর এক চুরি করে হাত পাকান। চাকরি পাওয়ার পরই আসানসোলে একটি চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে  চাকরি যাওয়াতে তাঁর কোনও দুঃখ হয়নি বলে জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় একাধিকবার মায়ের গয়ানাগাটিও চুরি করেছেন! এমন অদ্ভুত শখে তাজ্জব তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরাও। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উনি হয়ত ‘ডিসঅর্ডার’- এ ভুগছেন। একে বলা হয় ক্লেপ্টোমেনিয়া (Kleptomania)।

আরও পড়ুন: Bengal BJP: খোদ বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগ টিম পিকে’র? অমিতাভের ‘স্বীকারোক্তি’ ঘিরে জোর জল্পনা