Durga Puja 2025: কে পাবে ১ লাখ ১০ হাজারের চেক! ঝামেলার জেরে পুজোর মুখে একই ক্লাব শুরু করল দু’টো পুজো
Durga Puja in Daspur: বিবাদ মেটাতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে দাসপুর থানা। ঝামেলার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সরকারি অনুদান। যদিও ক্লাবের সদস্যের মধ্য়ে মত পার্থক্যের জেরে ঝামেলার সূত্রপাত ২০১৭ সাল থেকে।

দাসপুুর: কে পাবে সরকারি অনুদান তা নিয়েই পুজোর মুখে কমিটির সদস্যদের মধ্যে চরম বিবাদ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছাল যে ভেঙে গেল পুজো কমিটি। উল্টে এক নামে শুরু হল দু’টি পুজো। হ্যাঁ এমনই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণপুরে গ্রামে। কমিটির বিবাদকে নিয়ে পুজোর মুখে চাপানউতোর চলছে গোটা গ্রামে। এখানেই হরেকৃষ্ণপুর কিশোর বাহিনী ক্লাবের দুর্গাপুজো প্রায় ১৫ বছর ধরে হয়ে আসছে। সরকারের আর্থিক অনুদানও বেশ কয়েক বছর ধরে পেয়ে আসছে এই ক্লাব। কিন্তু আচমকা যে এই পরিস্থিতি তৈরি হবে তা ভাবতে পারেননি গ্রামের বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, বিবাদ মেটাতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে দাসপুর থানা। ঝামেলার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সরকারি অনুদান। যদিও ক্লাবের সদস্যের মধ্য়ে মত পার্থক্যের জেরে ঝামেলার সূত্রপাত ২০১৭ সাল থেকে। তবে চাপা ক্ষোভের পুজো হয়ে আসছিল। অনুদান আসছিল। গত বছর পুজোর সময় ঝামেলা একেবারে চরমে ওঠে। সূত্রের খবর, এবারই নিজের কিছু অনুগামী নিয়ে ক্লাব থেকে সরে আসেন পুজো কমিটির সম্পাদক নারায়ন গোস্বামী। নিজেরা আরও একই ক্লাবের নামে একটি পুজো করেন। পুজোর অনুদানের জন্য আবেদনও করেন।
অন্য়দিকে পুরনো পুজোর অনুদানের জন্য় আবেদন করেন ক্লাবের পুরনো সদস্যরাও। যা থেকেই বচসা একেবারে চরমে ওঠে। নারায়ন বাবুর দাবি, সম্পাদক হওয়ার ফলে তাঁর নামে আগে থেকেই চেক ও রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। ফলে অনুদান তাঁদের প্রাপ্য। অন্যদিকে বিরোধী শিবির আবার বলছে জোর করে কাগজপত্র নিজের নামে করে রেখেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে জানা যাচ্ছে কেউই চেক পাননি। নারায়ন গোস্বামী যদিও বলছেন রফা করতে তাঁরা আইনের দ্বারস্থ হবেন। কোর্টে যাবেন।
