প্রাচীন মোহর বিক্রির নামে জালিয়াতি, গ্রেফতার ৩

3 arrested: ২০০ টি মুদ্রার তিন লক্ষ টাকা দামে বিক্রির রফা হয়। অভিযোগকারী জানান, গত শুক্রবার বিকালের দিকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে গুসকরা শহরে আসেন তিনি। ২০০ টি মুদ্রার বিনিময়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায় তিনজন। কিন্তু পরে দেখা যায় সেগুলি সবই নকল।

প্রাচীন মোহর বিক্রির নামে জালিয়াতি, গ্রেফতার ৩
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 4:59 PM

পূর্ব বর্ধমান: প্রাচীন সোনার মুদ্রা বিক্রির নামে জালিয়াতির অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থেকে গ্রেফতার হল ৩ ব্যক্তি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হল নগদ ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। একটি নম্বর প্লেট-বিহীন মোটরসাইকেল এবং ৬টি মোবাইল ফোন।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক বিমল কুমার মাল শুক্রবার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিমলবাবুর অভিযোগ, বেশকিছুদিন আগে রাজীব দাস নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। বলা হয় পুরানো আমলের ২০০ টি পুরনো সোনার মুদ্রা তাদের কাছে আছে। সেগুলি কম টাকায় বিক্রি করতে চান।

বিমলকুমার বলেন,”আমি প্রথমে গুরুত্ব দিইনি। বারবার ফোন করার পর আমি গত ১৬ জুলাই গুসকরা বাসস্ট্যাণ্ডে এলে ওরা তিনজন মিলে আমাকে একটি মোহর দেখায়। সেটি নিয়ে গিয়ে একটি সোনারুপোর দোকানে পরীক্ষা করাই। তখন সেটি সোনার বলে জানতে পারি। তখন বিশ্বাস হয়।”

এরপর বিমলবাবুর সঙ্গে ২০০ টি মুদ্রার তিন লক্ষ টাকা দামে বিক্রির রফা হয়। তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকালের দিকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে গুসকরা শহরে আসেন তিনি। ২০০ টি মুদ্রার বিনিময়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায় তিনজন। কিছুক্ষণ পর গুসকরা শহরের সেই সোনারূপোর দোকানে গিয়ে ওই মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করান। তখন তিনি জানতে পারেন এগুলো নকল। তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তারপর সমস্ত ঘটনা জানিয়ে গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ভেদিয়া এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম সাগর মণ্ডল, খোকন সাহা এবং শেখ মেহের। এদের মধ্যে প্রথম দু’জনের বাড়ি আউশগ্রামের ভেদিয়ায়। আর শেখ মেহের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার ভ্রমরকোল গ্রামে। শুক্রবার রাতেই ভেদিয়া এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। আরও পড়ুন: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশদ্বার উত্তরবঙ্গ! দাবি চিকিত্‍সকদের, তথ্য গোপন স্বাস্থ্যদফতরের?