Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aadhar Card: প্যান কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করাতেই মহিলাকে ‘পুরুষ’ বানিয়ে দিল আধার কার্ড

Aadhar Card: রেখাদেবীর জানান, "স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী হিসাবে আমি পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তাই সরকারি দফতরে নিজের নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এবার আধার কার্ডে আমাকে পুরুষ বলে উল্লেখ থাকায় বেজায় সমস্যায় পড়েছি। এটা সংশোধনের জন্য সম্প্রতি আমি নবগ্রাম পোস্ট অফিসে যাই।"

Aadhar Card: প্যান কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করাতেই মহিলাকে 'পুরুষ' বানিয়ে দিল আধার কার্ড
(নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2023 | 6:59 PM

পূর্ব বর্ধমান: দুই সন্তানের জননী। অথচ আধার কার্ডে পরিচয় দেওয়া পুরুষ। পরে যখন পুনরায় সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়। তারপরও নতুন আধার কার্ডে ‘পুরুষ’ বলেই উল্লেখ করা হয় বৃদ্ধাকে। যার জেরে বেজায় চটেছেন ওই বৃদ্ধা। দেশের একজন প্রবীণ নাগরিকের এ হেন ‘অভভ্যতা’ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন তাঁরা। এর আইনি ব্যবস্থা কীভাবে নেওয়া যায় সেই ব্যাপারে বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রেখাদেবীর পুত্ররা।

রেখা চ্যাটার্জির বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়া গ্রামে। বর্ধিষ্ণু পরিবার তাঁদের। রেখাদেবীর স্বামী গুরুদাস চ্যাটার্জি কয়েক মাস আগে মারা গিয়েছেন। গুরুদাস বাবু স্কুল শিক্ষক ছিলেন। রেখাদেবীর দুই পুত্র রবিশংকর চ্যাটার্জি ও উদয়শংকর চ্যাটার্জি কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। এই রকম এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের বধূ রেখাদেবীকে কোন যুক্তিতে আধার কার্ডে পুরুষ বলে উল্লেখ করা হল তার কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না পাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দারা। তারা এই ঘটনার জন্য নবগ্রাম পোস্ট অফিসে আধার কার্ড তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরই দায়ী করেছেন।

রেখাদেবী জানিয়েছেন, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হওয়ার পর নিজের পরিচয় পত্র করানোর জন্য তিনি সমস্ত নথিপত্র নিয়ে স্থানীয় নবগ্রাম পোস্ট অফিসে যান। সেখানে নির্দিষ্ট আবেদন পত্র পূরণ করেন ও সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে আসেন। এরপর ডাকযোগে তাঁর বাড়িতে আধার কার্ড আসে। রেখাদেবী বলেন যে, ওই আধার কার্ড হাতে নিয়ে দেখতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। তিনি দেখেন, আধার কার্ডে তাঁর নাম ঠিকানা সব ঠিক থাকলেও তাঁকে পুরুষ (Male) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরজন্য শুধু তাঁর সম্মানহানি হয়নি বরং তাঁকে নানা অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হচ্ছে।

রেখাদেবীর জানান, “স্বামী মারা যাবার পর স্ত্রী হিসাবে আমি পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তাই সরকারি দফতরে নিজের নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এবার আধার কার্ডে আমাকে পুরুষ বলে উল্লেখ থাকায় বেজায় সমস্যায় পড়েছি। এটা সংশোধনের জন্য সম্প্রতি আমি নবগ্রাম পোস্ট অফিসে যাই।” রেখাদেবী বলেন যে, তিনি যে মহিলা সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন। পুনরায় যাবতীয় প্রক্রিয়া সেরে আসেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও আধার কার্ডে তাঁর আর পুরুষ থেকে মহিলা হয়ে ওঠা হয় না। নতুন যে আধার কার্ড তাঁর বাড়িতে এসেছে সেটিতেও একই ভাবে তাঁকে পুরুষ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।

কি কারণে এই অভব্যতা ? কেনই বা তাঁকে এইভাবে হয়রান করা হচ্ছে, তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান রেখাদেবী। গ্রামবাসী প্রেমনাথ ঘোষাল বলেন, “ভারতীয় নাগরিকের অন্যতম দুটি পরিচয় পত্র হল প্যান ও আধার কার্ড। আয়কর দফতর প্যানের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করাটা বাধ্যতামূলক করেছে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।” প্রেমনাথ ঘোষালের অভিযোগ, এতকিছু সত্ত্বেও সঠিক আধার কার্ড পেতে এখনও দেশের প্রবীণ নাগরিকদেরও হয়রান হতে হচ্ছে।

প্রেমনাথবাবুর দাবি, “জনগণকে ফ্যাসাদে ফেলতেই পরিকল্পনা মাফিক আধারে মহিলাকে পুরুষ, পুরুষকে মহিলা বলে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।” এরও তদন্ত হওয়া দরকার বলে প্রেমনাথ ঘোষাল মন্তব্য করেছেন।