Bardhaman: বাচ্চাকে স্কুলে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর প্ল্যান, মহিলা যেতেই ছুরি মেরে সব গয়না নিয়ে পালাল যুবক
Bardhaman: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কামারপাড়া গ্রামের বাজারের সাহাপাড়া এলাকায় রয়েছে রাধারাণী মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চের সামনেই রক্তাক্তবস্থায় ছন্দাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বধূ ওইসময় তাদের জানান পাড়ারই বাসিন্দা সুচাঁদ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে।
বর্ধমান: সন্তানদের স্কুলে ছাড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন গৃহবধূ। পরবর্তীতে তিনি দেখা করেন প্রেমিকের সঙ্গে। পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দু’জনের। এমন অবস্থায় অভিযোগ, আচমকাই দু’জনের মধ্যে বাধে বাক-বিতণ্ডা। তখনই প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি ক্ষুর চালিয়ে তাঁর গহনা ও টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কামারপাড়া গ্রামে।
জখম গৃহবধূর নাম ছন্দা খা (৩২)। চোদ্দ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী ভাতারের ওড়গ্রামে একটি গোডাউনে কাজ করেন। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, আঠাশ বছর বয়সী সুচাঁদ প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
অভিযোগ, আজ প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে দু’জনের পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মত সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসার পর সোনাদানা ও টাকাপয়সা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রেমিকা বধূ। কিন্তু দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে প্রেমিক প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি ক্ষুর মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। আধ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সুচাঁদকে আটক করে ফেলে ভাতার থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কামারপাড়া গ্রামের বাজারের সাহাপাড়া এলাকায় রয়েছে রাধারাণী মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চের সামনেই রক্তাক্তবস্থায় ছন্দাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বধূ ওইসময় তাদের জানান পাড়ারই বাসিন্দা সুচাঁদ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন মিস্ত্রি জানান,”সুচাঁদের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সোনাদানা ও টাকার ব্যাগ নিয়ে ছন্দা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু জামাকাপড়ের ব্যাগটা সঙ্গে আনেনি বলে আবার যখন বাড়িতে যাচ্ছিল তখন দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন সুচাঁদ তার কাছে থাকা ক্ষুর বের করে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। তারপর সোনার গহনা ও টাকাপয়সার ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়।”