Abhishek Banerjee Picture: সরকারি কর্মসূচিতে অভিষেকের ছবি, দুর্গাপুজোর কার্নিভালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং ইন্দ্রনীল সেন। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানের ব্যানারে কেন অভিষেকের ছবি থাকল সে বিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজ্যের দুই মন্ত্রী। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিও কোনও মন্তব্য করেননি।
বর্ধমান: সরকারি অনুষ্ঠানে লাগল রাজনীতির রং। তা নিয়েই তরজা শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। শনিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ব্যানারে দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচেই রয়েছে অভিষেকের ছবি। এ নিয়েই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় প্রচারের মঞ্চ তৃণমূল বানিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা মুখ খোলেননি।
শনিবারের এই অনুষ্ঠানে কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং ইন্দ্রনীল সেন। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানের ব্যানারে কেন অভিষেকের ছবি থাকল সে বিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজ্যের দুই মন্ত্রী। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিও কোনও মন্তব্য করেননি।
তবে এই অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তাঁ। তিনি বলেছেন, “আসলে প্রশাসনের আধিকারিকরা এখন দু’কান কাটা হয়ে গিয়েছেন। অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি আছে ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্ধমানের সঙ্গে অভিষেকের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনটা সরকারি আর কোনটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান, তা এখন বোঝা যায় না। নির্লজ্জ প্রশাসনের আমলে আর কী হবে।”
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস সাফাই দিয়েছেন বিজেপির অভিযোগ নিয়ে। তিনি বলেছেন, “বিজেপির অভিযোগ করা অভ্যাস। তাই এসব অভিযোগ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার সাংসদ। তাই তাঁর ছবি থাকতেই পারে।” এর পাশাপাশি তৃণমূল কখনও সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।