Mysterious death in Burdwan: রাতের অন্ধকারে পুকুরে গাড়ি, স্বামী বাঁচলেও মৃত্যু স্ত্রীর! দুর্ঘটনা নয় জামাইয়ের পরকীয়ার জেরেই খুন, দাবি পরিবারের
Burdwan: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন শুক্রবার বর্ধমানে তাঁরা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চারচাকা করে হাটবাকশায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। গ্রামে পৌঁছানোর পরই গাড়িটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায়। তা নিয়েই বাড়ছে রহস্য।

মেমারি: চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন দম্পতি। রাতে ফেরার পথেই কালনা রোডের ধারে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। পুকুরে নেমে গেল আস্ত গাড়ি। স্বামীকে প্রাণে বাঁচানো গেলেও মৃত্যু স্ত্রীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গন্তার-১ অঞ্চলের ঘোষ গ্রামে। পরিবারের সদস্যের দাবি ঘিরে আরও ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। তাঁদের দাবি, এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। জীবিত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় মুকুল শেখকে। কিন্তু শুরু তাঁর স্ত্রী আসমাতারা খাতুনকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে পাওয়া যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মেমারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। মৃতার বাড়ি তাহেরপুর। শ্বশুরবাড়ি হাটবাকশায়।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন শুক্রবার বর্ধমানে তাঁরা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চারচাকা করে হাটবাকশায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। গ্রামে পৌঁছানোর পরই গাড়িটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায়। কিন্তু এটা নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ মুকুল শেখের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আসমাতারা তা জানতে পারাতেই পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটানো হয়েছে। আসমাতার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই মফিজুল শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামেই চাপানউতোর। মৃতার মা বলছেন, “জামাই বলেছিল মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে। ওরা যখন মেমারির কাছে আছে তখন আমি কল করেছিলাম। তখনও সব ঠিকঠাক। তারপর তো শুনছি এই হয়ে যায়।”
