Kalna: কৃষকদের নামে লোন, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সমবায় ম্যানেজার
Kalna: জানা গিয়েছে, ওই সমবায়ে আলুর ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা ঢুকেছিল কৃষকদের। কিন্তু ব্যাঙ্কের ম্যানেজার চাষিদের নামে একাধিক লোন তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু ঠিক মতন তা পরিশোধ করেননি। এরপর সেই টাকা সমবায়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ব্য়াঙ্ক তা কেটে নেয়।
কালনা: ন’বছর ধরে হয়নি অডিট। একজনের নামের লোন তুলে দেওয়া হয়েছে অন্যজনকে। একই সঙ্গে লোন পরিশোধ করার টাকা,ঠিক সময় জমা করা হয়নি ব্যাঙ্কে। এমনই সব অভিযোগ নিয়ে বুধবার দুপুরে কালনা দু’নম্বর ব্লকের কুমোর পাড়া আনোখা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার সঞ্জিত ঘোষের বিরুদ্ধে সরব কৃষকরা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। দুর্নীতি হয়েছে অকপটে স্বীকারও করে নিলেন ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার।
জানা গিয়েছে, ওই সমবায়ে আলুর ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা ঢুকেছিল কৃষকদের। কিন্তু ব্যাঙ্কের ম্যানেজার চাষিদের নামে একাধিক লোন তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু ঠিক মতন তা পরিশোধ করেননি। এরপর সেই টাকা সমবায়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ব্য়াঙ্ক তা কেটে নেয়।
কৃষকদের দাবি, তাঁরা ঠিক টাইমে টাকা পরিশোধ করেছিলেন। কেউ কেউ যা টাকা লোন নিয়েছেন ম্যানেজার তার থেকে বেশি টাকা তুলে অন্যজনকে লোন করে দিয়েছে। ফলে তাঁর লোন পরিশোধ করার পরও কিছু কিছু চাষির অ্যাকাউন্টে এখন লোনের টাকা বাকি দেখাচ্ছে। ন’বছর ধরে সমবায়ে হয়নি অডিট। আর সেই কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে সমবায় পড়েছে তালা। ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে বুধবার বিকালে ম্যানেজারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।
কৃষক বুদ্ধদেব মল্লিক বলেন, “গতবারের বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হয়েছিল। সেই কারণে আমরা বীমা করেছিলাম। প্রিমিয়ামও জমা দিয়েছি সমিতিতে। সেই মতো বীমার টাকা ঢুকেছে সমিতিতে। সেই টাকা ঢোকার পর আমরা যখন তুলতে যাই তখন দেখি অ্য়াকাউন্ট শূন্য হয়ে গিয়েছে। উল্টে দেখাচ্ছে লোন এক্স্ট্রা হয়েছে। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, সমিতি থেকে ব্যাঙ্ক ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে। মানে আমার নামে আরও এক্স্ট্রা লোন দেখিয়ে সেই সব টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে। ব্যাঙ্ক টাকা কেটেছে। ম্যানেজার দুর্নীতি করেছে পরিষ্কার। তারপর অডিট হয়নি। যে খাতা দেখে ব্যাঙ্ক কেটেছে। সেটা তো ম্যানেজার খাতা ছেড়েছে। ম্যানেজার নিশ্চয়ই লোন বেশি দেখিয়েছে। সেই কারণেই টাকা বেশি কাটছে।” অভিযুক্ত ম্যানেজার বলেন, “আমি হয়ত লোন তুলেছি একজনের নামে। কিন্তু এটা উচিত নয়। আমি হয়ত শোধ করেছি। দোষ বলতে, ব্যাঙ্ক থেকে যখন লোন তোলা হয় শোধ করায়। সেই সময় ওরা যদি দেখত লোন কোথায় কোথায় যাচ্ছে সেটা যদি ওরা দেখত দুর্ভোগ হত না।”