Bakkhali: বড় সঙ্কটের মুখে বকখালি, প্রশাসনের তরফ থেকে চরম সতর্কতা
Bakkhali: এই বেআইনি কাজ আটকাতে পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর করে বিডিও, বিলিআরও, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ রমরমিয়ে চলছে। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস জানিয়েছেন, এভাবে কেউ পলি, বালি কাটতে পারে না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ভাঙনে জেরবার বাংলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বকখালি। সেই ভাঙন আটকাতে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সমুদ্রের পলি ও বালি। সেই পলি ও বালি কাটা হচ্ছে বাঁধের পাশ থেকে। প্রতিদিন পেলোডার দিয়ে বাঁধ মেরামতির ঠিকাদার সংস্থা বঙ্গোপসাগরের তির থেকে দেদার পলি, বালি কেটে চলেছে। কাটার পর পলি, বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্র্যাক্টর ভরে। এই পলি ও বালি কাটা বেআইনি বলে দাবী স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে সাধারণ বাসিন্দাদের।
এই বেআইনি কাজ আটকাতে পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গণস্বাক্ষর করে বিডিও, বিলিআরও, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ রমরমিয়ে চলছে। নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস জানিয়েছেন, এভাবে কেউ পলি, বালি কাটতে পারে না। পঞ্চায়েত সমিতি কিছু জানে না। নামখানার বিএলআরও শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বকখালির পাশেই ফ্রেজারগঞ্জ কলোনি, লক্ষ্মীপুর, বিজয়বাটি, দাসকর্নার, হাতিকর্নার একাধিক গ্রাম আছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এই এলাকায় দ্রুত ভাঙন হচ্ছে। ভাঙন ইতিমধ্যে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে জমি, বাড়ি, গাছ। এই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতি চলছে। আর সেই বাঁধ মেরামতি নিয়ে গুচ্ছের অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের। বাঁধের পাশে সমুদ্রতির থেকে এভাবে পলি, বালি তুলে নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ভাঙনের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন সকলে।