Burdwan University: আগে গিয়েছিলেন VC, আর এবার থানায় ছুটলেন রেজিস্ট্রার, কী হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে?
সুজিতবাবুর দাবি, ২ সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষা দফতর তাঁকে রেজিস্ট্রার পদে পুনর্বহাল করেছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী তিনি ৯ সেপ্টেম্বর কাজেও যোগ দেন। কিন্তু সোমবার অফিসে গিয়ে তালাবন্ধ ঘরের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সুজিতবাবু বলেন, "সরকারি নির্দেশে আমি পুনর্বহাল হয়েছিলাম।

বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (BU) রেজিস্ট্রার পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থামার কোনও লক্ষণ নেই। সোমবার ফের নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরে তালা ঝুলছে। এরপরই ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে সরাসরি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সুজিতবাবুর দাবি, ২ সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষা দফতর তাঁকে রেজিস্ট্রার পদে পুনর্বহাল করেছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী তিনি ৯ সেপ্টেম্বর কাজেও যোগ দেন। কিন্তু সোমবার অফিসে গিয়ে তালাবন্ধ ঘরের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সুজিতবাবু বলেন, “সরকারি নির্দেশে আমি পুনর্বহাল হয়েছিলাম। অথচ আজ অফিসে এসে দেখি রেজিস্ট্রারের ঘরে তালা। তাই থানায় অভিযোগ জানালাম।”
এর আগে উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছিলেন, রেজিস্ট্রারের চেয়ার জোর করে দখল করেছেন সুজিত চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, “উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে আমার কাছে কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। আমি বিষয়টি নিয়ে দফতরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাইনি। তাই রেজিস্ট্রারের সমস্ত দায়িত্ব আমি নিজেই সামলাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অস্থায়ী রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করার পর থেকেই প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব উপাচার্যের হাতেই ছিল। সেই জায়গাতেই প্রশ্ন উঠেছে সুজিতবাবুর পুনর্বহাল নিয়ে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝে কার্যত অচলাবস্থার মুখে দাঁড়িয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম। এখন নজর উচ্চশিক্ষা দফতরের উপর।তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেই নির্ভর করছে রেজিস্ট্রার পদ সংক্রান্ত জটের সমাধান।
