School: পড়াশোনার ‘অন্তর্জলি’! শ্রাদ্ধের রান্না হচ্ছে স্কুলে
Katwa: ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার গাফুলিয়া দাস পাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেই মঙ্গলাবর সকাল থেকে চলছিল এলাকার এক শ্রাদ্ধ বাড়ির রান্না। এমনকী নিমন্ত্রিতদের স্কুলেই খাওয়ানো হতো বলে খবর। বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা স্কুলের মধ্যেই ছাউনি টাঙানো হয়েছিল।
কাটোয়া: স্কুল প্রাঙ্গণে টাঙানো হয়েছে চাঁদোয়া। সেখানে চলছে রান্না। কী ভাবছেন পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের রান্না চলছে? না একদমই নয়। শ্রাদ্ধ বাড়ির অনুষ্ঠানের রান্না। অর্থাৎ, একদিকে যখন পড়ুয়ারা আসছে ক্লাস করতে, সেই সময় স্কুলের ভিতরেই তোড়জোড় চলছে শ্রাদ্ধবাড়ির অনুষ্ঠানের।
ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার গাফুলিয়া দাস পাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেই মঙ্গলাবর সকাল থেকে চলছিল এলাকার এক শ্রাদ্ধ বাড়ির রান্না। এমনকী, নিমন্ত্রিতদের স্কুলেই খাওয়ানো হতো বলে খবর। বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা স্কুলের মধ্যেই ছাউনি টাঙানো হয়েছিল। এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে ওভেনে চলছিল ৬০০ লোকের রান্নার তোড়জোড়। এ দিকে, স্কুলের সময় হওয়ায় ধীরে ধীরে পড়ুয়ারাও আসতে শুরু করেছিল স্কুলে। একদিকে চলবে স্কুলের ক্লাস, আর অন্য দিকে চলবে রান্না। এটাই বোধহয় ঠিক করেছিলেন প্রধান শিক্ষক।
তবে এলাকাবাসী মারফৎ সেই খবর পৌঁছয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বীকার করে নেন ভুল হয়েছে। এলাকাবাসীরা অনুরোধ করায় স্কুলে রান্না চলছে। আগামী দিনে এমন হবে না। ঘটনায় এসআই বলেন, “এমন কোনও নিয়ম নেই। এটা হতে পারে না। খোঁজ নিচ্ছি।” যার বাড়ির শ্রাদ্ধের কাজ হচ্ছিল স্কুলে, সেই সনৎ দাস বলেন, “বাবা মারা গিয়েছে। সেই কারণে শ্রাদ্ধের কাজ করার জন্য এই স্কুলটা বেছে নিয়েছিলাম। গরিব মানুষ কোথায় যাব। সেই কারণে স্যর বললেন এখানেই করে নিতে।” প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত ঘোষ বলেন, “এটা করা যায় না স্কুলের মধ্যে। আসলে উনি গরিব মানুষ সেই কারণে অনুমতি দিয়েছিলাম। আগামী দিনে হবে না। আমি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”