Burdwan Theft: কাটোয়া-আউশগ্রাম-ভাতার, বর্ধমানে লাগাতার চুরি মন্দিরে, অবশেষে বাঞ্জারা গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস পুলিশের
Burdwan Theft: তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। তা মঞ্জুরও করেন বিচারক। দ্রুত চুরি যাওয়া বাকি গয়না উদ্ধার হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্ধমান: বিগত কয়েক সপ্তাহে সামনে এসেছে একের পর এক ঘটনা। ফাঁকা হয়েছে একের পর এক মন্দির। সবই বর্ধমানে। শুরু থেকেই পুলিশের সন্দেহ কোনও একটি গ্য়াংই রয়েছে লাগাতার চুরি-ডাকাতির নেপথ্যে। শেষে সেই জল্পনাই কার্যত সত্যি হল। উঠে এল বাঞ্জারা গ্যাংয়ের নাম। বেশ কিছু দিন ধরে জেলার কাটোয়া, আউশগ্রাম, ভাতার, গলসি থানা এলাকায় থাকা বিভিন্ন মন্দিরে গয়না চুরির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত কয়েকদিনের চেষ্টায় আউশগ্রামের ভেদিয়া অবনসেতুর কাছ থেকে ধরা পড়ে বাঞ্জারা গ্যাংয়ের তিন সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু গয়না উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের জোরকদমে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। চক্রের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সোমবারই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃত পবন ব্যাধ,উদয় ব্যাধ ও সুলতান ব্যাধকে তোলা হয় বর্ধমান জেলা আদালতে।
তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। তা মঞ্জুরও করেন বিচারক। দ্রুত চুরি যাওয়া বাকি গয়না উদ্ধার হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কীভাবে চুরির গোটা অপারেশন চালাত ধৃতেরা? পুলিশ সুপার বলছেন, চামচিকি, বাদুর ও মধু সংগ্রহের অজুহাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরতো বাঞ্জারা গ্রামের এই লোকজন। কিন্তু, আসলে চলতো মন্দির রেইকির কাজ। তারপরই রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে যেত গয়না। পুলিশের সন্দেহ গোটা কাজ শুধু এই তিনজনের নয়। আরও অনেকেই যুক্ত থাকতে পারে। ধৃতদের জেরা করে তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।