Malda Laxmi Puja: ১৮ হাতে থাকে ১৮ অস্ত্র, মালদহে দুই রূপে পূজিত হয় এই লক্ষ্মী
Malda Laxmi Puja: কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ১৬ রকম উপাচারের মাধ্যমে পূজিত হন তিনি। পুজোর দিন সকালে বস্ত্র, আলতা, কাজল, চিরুনি, ধুপচি এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে পুজো করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা দেওয়া হয় যজ্ঞে। ভোগের মধ্যে থাকে পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, ডাল এবং মিষ্টি।

মালদহ: মা লক্ষ্মীর হাতে অস্ত্র! এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। সাধারণত ঘরে ঘরে যে লক্ষ্মী প্রতিমার পুজো হয়, তার দুটিই হাত থাকে। এক হাতে থাকে কলস আর অন্য হাতে থাকে অভয় মুদ্রা, যা আশীর্বাদের প্রতীক। কিন্তু এই লক্ষ্মীর ১৮টি হাত। আর তাতেই রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র। মালদহের বামনগোলায় গেলে দেখা যাবে এমনই লক্ষ্মী প্রতিমা।
মালদহের বামনগোলা ব্লকের জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদা তীর্থ আশ্রমে পূজিত হয় ১৮ হাতের মহালক্ষ্মী। সারদা তীর্থ আশ্রমে ২৬ বছর ধরে মহাশক্তি রূপে পুজো করা হয় লক্ষ্মীকে। এই লক্ষ্মী প্রতিমা দু’বার পূজিত হয়। রাতে কোজাগরী ও লক্ষ্মী রূপে পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে প্রাচীন নিয়ম মেনেই কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ১৮ হাতের দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আশ্রমের স্বামী আত্মাপ্রেনন্দ মহারাজ জানান, ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকে অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল থেকে এই পুজোর সূচনা করেন তিনি। এখানে দেবীর এক হাতে থাকে চক্র এবং অন্যান্য হাতে ত্রিশূল, গদা, তীর-ধনুক, কুঠার, পদ্ম, শঙ্খ-সহ অন্যান্য অস্ত্র থাকে। অসুরদের বধ করার জন্যই নাকি তাঁর এই রূপ। পুজোর আচারেও আছে ভিন্নতা।
কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ১৬ রকম উপাচারের মাধ্যমে পূজিত হন তিনি। পুজোর দিন সকালে বস্ত্র, আলতা, কাজল, চিরুনি, ধুপচি এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে পুজো করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা দেওয়া হয় যজ্ঞে। ভোগের মধ্যে থাকে পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, ডাল এবং মিষ্টি। রাতে এখানে চিত্রপটে মহালক্ষ্মীকে পুজো করা হয়। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে।
আশ্রম কর্তাদের বক্তব্য, দেবী এখানে লক্ষ্মী, মা দুর্গা, চণ্ডী রুপী সহ বিভিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে থাকেন। তাই কাল্পনিক চিন্তাধারায় দেবীকে এখানে ১৮ হাত বিশিষ্ট হিসাবে পূজা করা হয়। লক্ষ্মীপুজোর পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
