Burdwan Municipality: ‘পুরসভায় আসবে, কিন্তু বেরতে পারবে না’, চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি কাউন্সিলরের
তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ বর্ধমান শহরের ট্রাফিক কলোনি, শোলাপুকুর মসজিদ এলাকা বেশ কয়েক মাস ধরে অন্ধকারে থাকছে। এর জেরে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যা হলেই রাস্তাঘাট অন্ধকার থাকার জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে।
বর্ধমান: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল বর্ধমানে। বর্ধমান পুরসভা তৃণমূল পরিচালিত। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানকে পুরসভার মধ্যে আটকে রাখার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলার। বর্ধমান পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ নুরুল আলমের অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন রাস্তার লাইট জ্বলছে না। রাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকছে বহু এলাকা। তিন মাস আগে ঝড়ে উড়ালপুলের বেশ কয়েকটি বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এখনও সেগুলি মেরামত করা হয়নি। বার বার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েও কোনও কাজ হয় নি বলে অভিযোগ। এর জেরে তার ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশ অন্ধকারে থাকছে।
তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ বর্ধমান শহরের ট্রাফিক কলোনি, শোলাপুকুর মসজিদ এলাকা বেশ কয়েক মাস ধরে অন্ধকারে থাকছে। এর জেরে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যা হলেই রাস্তাঘাট অন্ধকার থাকার জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এমনকি এলাকায় অসামাজিক কাজও বাড়ছে বলে অভিযোগ কাউন্সিলরের। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে সংবাদমাধ্যমের সামনেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “সাত দিন সময় দিলাম চেয়ারম্যানকে। যদি লাইট না জ্বলে তাহলে এলাকার মানুষ নিয়ে গিয়ে পুরসভা ঘেরাও করব। চেয়ারম্যান পুরসভায় আসবে ঠিকই। কিন্তু বেরোতে পারবে না। তাঁকে আমরা আটকে রাখব। তাতে যা হয় দেখা যাবে।”
এ প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেছেন, “কে কি বলেছেন, কোথায় বলেছেন, কেন বলেছেন জানি না। আমাদের সমস্ত ওয়ার্ডেই নিয়ম করে লাইট লাগানো হয়। এর জন্য আমাদের এজেন্সি আছে। আমরা পুরসভা থেকে শুধু জিনিসপত্র সরবরাহ করি। ওরা লাইটগুলো লাগায়। ওখানে দেখতে হবে কী কারণে লাইটগুলো লাগেনি। কি অসুবিধা হয়েছে।” তাঁকে এই বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি বলেও দাবি করেছেন চেয়ারম্যান। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।