AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Leader Expelled: NIA দাবি করা তৃণমূল নেতাকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করল দল

Katwa TMC: তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতিকে দল বিরোধী কাজের জন্য আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।"

TMC Leader Expelled: NIA দাবি করা তৃণমূল নেতাকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করল দল
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শুভেন্দু কুমার দাসImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2025 | 2:13 PM
Share

কাটোয়া: এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে সরব হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরই বহিষ্কার করা হল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ-সভাপতি শুভেন্দু কুমার দাস ওরফে সুমনকে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। দল বিরোধী কাজের জন্য আজীবন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তবে NIA-এ তদন্ত চাওয়ার জন্যই কি তাঁকে বহিষ্কার? সেই নিয়ে খোলসা করেননি রবীন্দ্রনাথ।

তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতিকে দল বিরোধী কাজের জন্য আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” কী ধরনের দল বিরোধী কাজ করেছিলেন? রবীন্দ্রনাথ বলেন, “অনেক কিছু আছে। সেটা রাজ্য নেতৃত্ব বিশ্লেষণ করে দেখছে। তাতে দেখা গেছে প্রচুর দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আছে।” NIA-এ তদন্ত চেয়েছেন এটাও কি কারণ? তিনি বলেন, “আমি তো বললাম রাজ্য নেতৃত্ব বিশ্লেষণ করে দেখছে। তাতে দেখা গেছে প্রচুর দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আছে তাই আজীবনের জন্য বহিষ্কার। এটা কোনও সাসপেনশন নয়।”

আমি একজন নাগরিক ও আইনজীবী হিসাবে জনস্বার্থ মামলা করি। এখানে দলের পদ বা দলের নাম কোথাও উল্লেখ করিনি। আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও আইনজীবী হিসাবে এই মামলা করেছি। আমি জানি নাগরিক হিসাবে যে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে দেশজুড়ে একমাত্র NIA-র মতো কেউ তদন্ত করেতে পারে না। তাতে কে কী ভাবল আমার কিছু যায় আসে না। এর সঙ্গে রাজনীতি, দল, তৃণমূল, পদের কোনও যোগ নেই। যাঁরা বলছেন বলছেন…এই নিয়ে বক্তব্য দেব না। আর এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেব না। আর বহিষ্কারের বিষটিই জানি না।” বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের তো আরও নেতা আছে যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের কেন বাদ দেওয়া হল না?”

গত ৪ জুলাই বিস্ফোরণ হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। এরপরই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু কুমার দাস। তিনি দাবি করেছেন, কাটোয়া থানার তদন্তে ভরসা নেই। বিধায়ক যখন নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তখন একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই তিনি এই আবেদন করেছেন। গত ১৮ তারিখ তিনি কোর্টে মামলা করেন। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরই বহিষ্কার করা হল তাঁকে।