Manteswar Rape: আর কেউ নয়,যৌনাঙ্গে কঞ্চি ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে স্বামীই, চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে!

Manteswar: ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ও স্ত্রীকে শাস্তি দিতে নতুন পথ বেছে নেয় সে। গণধর্ষণের গল্প ফাঁদে অভিযুক্ত।

Manteswar Rape: আর কেউ নয়,যৌনাঙ্গে কঞ্চি ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে স্বামীই, চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 6:59 PM

মন্তেশ্বর: আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় নাটকীয় মোড়। পুলিশি তদন্তের জেরে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, রবিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় জোর করে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন তার স্বামী।

জানা গিয়েছে,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল বিরোধ। মনোমালিন্যের জেরেই ঘটে বিপত্তি। মদ্যপ অবস্থায় রবিবার রাত্রে স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তার স্বামী । এরপর স্বামীর অত্যাচারের কথা সকলকে জানাতে রাতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান নির্যাতিতা। তখনও রেহাই দেয়নি তার স্বামী। একটি নির্জন পুকুরের ধারে ফের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।

এরপর স্ত্রীকে ভয় দেখায় অভিযুক্ত। ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ও স্ত্রীকে শাস্তি দিতে নতুন পথ বেছে নেয় সে। স্ত্রীর যৌনাঙ্গের কঞ্চি ঢুকিয়ে দেয় তার স্বামী। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় স্ত্রীকে ফেলে রেখে রাতেই ফিরে যায় সেখান থেকে অভিযুক্ত।

সকাল নাগাদ গৃহবধূকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসীরা। দোষ চাপা দিতে স্ত্রীকে গণধর্ষণ এর গল্প ও নাটক শুরু করে স্বামী । এরপর বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি থাকা মহিলাকে ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশের হাতে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। এই ঘটনার বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন ওইমহিলার স্বামী ছা়ড়াও আর কেউ এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে।

আজ সকালে খবরে আসে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনা। জানা যায়, অভাবের সংসারে হাল ফেরাতে স্বামীর সঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন মহিলা। গত রবিবার রাতে নির্জন পুকুরঘাটে ঘরের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই কয়েকজন তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর সঙ্গে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা।

সোমবার ভোরে ওই গৃহবধূর স্বামী দেখেন স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সোমবার ভোরে পুকুর ধারের একটি ট্রলির নিচে পড়েছিলেন ওই মহিলা। বহু ডাকাডাকির পরও জ্ঞান না ফেরায় স্থানীয়রা পরামর্শ দেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। প্রথমে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী। এরপরই তদন্তে নেমে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, “আমরা সকালে পুকুর ঘাটে এসে দেখি একজন মহিলা পুকুরঘাটে শুয়ে রয়েছেন। ভোর তখন প্রায় চারটে বাজে। এর পরই ওনার পরিচিতরা এসে উদ্ধার করেন।” কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নারী আন্দোলন কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, “নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে তো প্রশ্ন বিভিন্ন সময়ই বিভিন্ন ভাবে উঠছে। উনি একজন আদিবাসী মহিলা, ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছেন। যেহেতু বর্ধমান, তাই হতে পারে তিনি ফসল কাটার কাজ করতে এসেছিলেন। একজন বাইরে থেকে কাজ করতে আসছেন, অথচ তাঁর ন্যূনতম নিরাপত্তা যদি রাজ্য দিতে না পারে তা হলে সাধারণ মানুষ পথে চলাচল করবে কী করে। ”

আরও পড়ুন: Gang Rape: রাতভর বাড়ি ফেরেননি মহিলা, পৈশাচিক অত্যাচারের পর পুকুরঘাটে ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা