CM Mamata Banerjee: দিঘায় পা রেখেই তৎপর মমতা, ‘কোটি টাকার’ খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘ছুটি উপভোগ করুন’

CM Mamata Banerjee: দিঘা সফরে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলরা কথা রয়েছে তাঁর। এমনকী দিঘার সমাগ্রিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও নেওয়ার কথা প্রশাসনের কর্তাদের থেকে।

CM Mamata Banerjee: দিঘায় পা রেখেই তৎপর মমতা, ‘কোটি টাকার’ খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘ছুটি উপভোগ করুন’
দিঘা সফরে মমতা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2024 | 5:16 PM

দিঘা: দিঘায় পা দিয়েই খোঁজ নিলেন জেলার খুঁটিনাটি। প্রশাসনিক থেকে রাজনৈতিক সব বিষয় নজরে রেখেই সোজা গেলেন গেস্ট হাউসে। সোমবারই তাঁর জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। কতদূর কাজ এগিয়েছে, কী অবস্থায় রয়েছে, তিনদিনের সফরে সবটাই খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে মমতার। তবে সিংহভাগ সময় কাটানোর কথা জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে। 

এদিকে মমতার সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই আবার কটাক্ষবাণ শানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিঘা সফরে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৩২৮০ জন পুলিশ কর্মী ব্যবহার হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।   

তবে দিঘা সফরে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলরা কথা রয়েছে তাঁর। এমনকী দিঘার সমাগ্রিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানও নেওয়ার কথা প্রশাসনের কর্তাদের থেকে। এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে নামেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ততক্ষণে রীতিমতো ভিড় জমেছে এলাকায়। হেলপ্যাড থেকে হেঁটে সোজা উঠে যান গাড়িতে। সোজা চলে যান ওল্ড দিঘার গেস্ট হাউসে। 

যদিও শুভেন্দুর দাবি, এত কিছু করেও চিঁড়ে বিশেষ ভিজবে না। পূর্ব মেদিনীপুরের জাতীয়তাবাদী, রাষ্ট্রবাদী মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছেন। আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “লোকসভা ভোটে অধিকারী মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মানুষ মমতা-অভিষেক মুক্ত করেছে।” শুধু তাই নয়, মমতাকে ছুটি উপভোগ করুন বলেও খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী শীতকালীন ছুটি উপভোগ করতে দিঘায় এসে গিয়েছেন। ভালো কথা, উনি দীঘার সমুদ্র সৈকতে ঘুরুন, জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজের অগ্রগতির তদারকি করুন এবং আনন্দের সঙ্গে তিন দিনের ছুটি উপভোগ করুন। নচেৎ ওনার নিরাপত্তায় ৩২৮০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েনের জন্য বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা বৃথা যাবে।”