AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: ৪-৫ আগে সরকারি প্রকল্পের কাজ করেছেন, তারপরও মিলছে না টাকা, ক্ষোভ উগরালেন পাওনাদাররা

২০২১ সালে পথশ্রী প্রকল্প, NRGS-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ করেছেন এলাকার বিভিন্ন ঠিকাদার। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর যাঁরা-যাঁরা কাজ করেছেন কেউই  সম্পূর্ণ টাকা পাননি। সেই কারণে পাওনাদাররা নিত্যদিন তাঁদের বাড়িতে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এরপর কোনও কোনও কন্ট্রাক্টর পাওনাদারের ভয়ে বাড়ি ছাড়াও পর্যন্ত রয়েছেন।

Nandigram: ৪-৫ আগে সরকারি প্রকল্পের কাজ করেছেন, তারপরও মিলছে না টাকা, ক্ষোভ উগরালেন পাওনাদাররা
পাওনাদারদের বিক্ষোভImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2025 | 2:31 PM
Share

নন্দীগ্রাম: পাঁচ বছর আগে সরকারি প্রকল্পের জন্য কাজ করেছিলেন। কেউ আবার জুগিয়েছিলেন কাঁচামাল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর কোনও টাকা পাননি তাঁরা। তাই এবার বিক্ষোভে সামিল হলেন সকলে। জানা যাচ্ছে, কেউ পাবেন ৫০ লক্ষ, কেউ পাবেন ৩০ লক্ষ। ২০২১ সালে পথশ্রী প্রকল্প, NRGS-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ করেছেন এলাকার বিভিন্ন ঠিকাদার। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর যাঁরা-যাঁরা কাজ করেছেন কেউই  সম্পূর্ণ টাকা পাননি। সেই কারণে পাওনাদাররা নিত্যদিন তাঁদের বাড়িতে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এরপর কোনও কোনও কন্ট্রাক্টর পাওনাদারের ভয়ে বাড়ি ছাড়াও পর্যন্ত রয়েছেন।

নন্দীগ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপদ মান্না নামের এক জনৈক কন্ট্রাক্টর প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা পেতেন। পাওনাদারদের চাপে এবং টাকার চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন টাকা না পাওয়ার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ঠিকাদাররা । তাঁরাও সংসার চালাতেও অক্ষম হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন সরকারি দফতরে বারবার ঘুরে ঘুরে কোনও লাভ না হওয়ায় নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসের সামনে তাঁরা দীর্ঘ সময় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুপ্রতিম আচার্য বলেন, “ঠিকাদাররা যাতে তাঁদের প্রাপ্য টাকা পান, সেই ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। বকেয়া টাকা যাতে মেলে সেই ব্যাপারে আমি চেষ্টা করব। সরকারি টাকা এলে পাওনা মিটে যাবে।” বিক্ষোভকারী ঠিকাদার শেখ ফাইজুল বলেন, “ফান্ড ঢুকলেই পেমেন্ট হয়ে যায়। কিন্তু এখনও টাকা পাচ্ছি না। প্রায় চার বছর হতে চলল কিছুতেই টাকা দিচ্ছে না। একের পর এক ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও কেউ বলে না।”