Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: শহিদ দিবসের মঞ্চ পোড়াল কারা? ফের উত্তেজনা নন্দীগ্রামে

Nandigram: বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

Nandigram: শহিদ দিবসের মঞ্চ পোড়াল কারা? ফের উত্তেজনা নন্দীগ্রামে
পুড়ে গিয়েছে মঞ্চের একাংশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2022 | 11:07 AM

নন্দীগ্রাম : ২০০৭ সালের পর থেকে প্রতি বছরই নন্দীগ্রামে ১০ নভেম্বর শহিদ তর্পণ করে তৃণমূল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও এখন আলাদা মঞ্চ করে শহিদ স্মরণের ব্যবস্থা করে। এবারও তাই হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরপর দুই দলের সভা হয়। কিন্তু সেই সভার ২৪ ঘণ্টা পরও উত্তেজনা কমল না নন্দীগ্রামে। শুক্রবার সকালে দেখা গেল, তৃণমূলের তৈরি করা মঞ্চের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। কেউ বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

বৃহস্পতিবার গোকুল নগরের করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ তর্পণের আয়োজন করে। নন্দীগ্রামের শহিদ বেদীর পাশেই সেই সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। আর তার থেকে তিন ফুট দূরত্বে ছিল বিজেপির মঞ্চ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল ওই গোকুল নগরে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে তৃণমূলের সভা হয়। আর দুপুরের পর শুরু হয় বিজেপির কর্মসূচি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপির ওই কর্মসূচি শেষেই তাঁদের কর্মীরা তৃণমূলের ওই মঞ্চের কাপড় পুড়িয়ে দেয় ও ছিঁড়ে দেয়। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থানে বসেছেন তাঁরা।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পা দিত্য গর্গ বলেন, জমি রক্ষা করতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা জানিয়েছি, তর্পণ করেছি। সেই শহিদ মঞ্চ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাহেব দাসের দাবি, তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নোংরা কাজ করি না। মৃত তৃণমূলকে আমরা কেন অক্সিজেন দেব? আমরা সুশৃঙ্খল দল।’ বৃহস্পতিবার ওই সভাকে ঘিরেই যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসে গিয়েছিল, সেকথাই এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে সভার শুরুতেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সামনে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। তৃণমূল নেতৃত্ব সেখ সুফিয়ান কেন মঞ্চে, তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান পীযুষ ভুঁইয়া মঞ্চে জায়গা পাবেন না কেন, তা নিয়ে কুণালের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। উত্তেজনা থামাতে আসরে নামতে হয় খোদ কুণালকে।