Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনিয়র বাঙালি বউ… মেয়ের শ্বশুরবাড়ির চিন্তায় ঘুম উড়েছে মহিষাদলের দম্পতির
পূর্ব মেদিনীপুর: মেয়ে-জামাই নিরাপদে রয়েছে ঠিকই। তবে জামাইয়ের মা, বাবার জন্য চিন্তায় ঘুম উড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বাড় পরিবারের। উৎকন্ঠায় দিন কাটছে মহিষাদলের মানিক বাড়ের পরিবারের। ২০১৯ সালে মানিকবাবু তাঁর মেয়ে অজন্তার বিয়ে দেন ইউক্রেনের এক যুবকের সঙ্গে। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিল। তবে কর্মসূত্রে এখন মেয়ে-জামাই সুইৎজারল্যান্ডে রয়েছে। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর শাশুড়ি ইউক্রেনেই রয়েছেন। ফলে মেয়ে-জামাই যেমন […]
পূর্ব মেদিনীপুর: মেয়ে-জামাই নিরাপদে রয়েছে ঠিকই। তবে জামাইয়ের মা, বাবার জন্য চিন্তায় ঘুম উড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বাড় পরিবারের। উৎকন্ঠায় দিন কাটছে মহিষাদলের মানিক বাড়ের পরিবারের। ২০১৯ সালে মানিকবাবু তাঁর মেয়ে অজন্তার বিয়ে দেন ইউক্রেনের এক যুবকের সঙ্গে। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিল। তবে কর্মসূত্রে এখন মেয়ে-জামাই সুইৎজারল্যান্ডে রয়েছে। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর শাশুড়ি ইউক্রেনেই রয়েছেন। ফলে মেয়ে-জামাই যেমন পরিবার নিয়ে চিন্তিত। একইভাবে উদ্বেগ মহিষাদল বাড় পরিবারেও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন কীভাবে আছেন, ফোন করে তার খোঁজও নিয়েছেন মানিক বাড়। কথা বলেছেন মানিকবাবুর স্ত্রীও।
মহিষাদলের সিনেমা মোড়ে দোকান রয়েছে মানিক বাড়ের। ২০১৯ সালে মেয়ের অজন্তা বাড়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই স্বামীর সঙ্গে ইউক্রেনে চলে যান তিনি। সেখানেই শ্বশুরবাড়ি। স্বামীকে নিয়ে অজন্তা বর্তমানে ইউক্রেনের বাইরে থাকলেও মেয়ের পরিবারের লোকজন ইউক্রেনে থেকে গিয়েছেন। মানিক বাড় বলেন, “মেয়ে জামাই ইউক্রেনের বাইরে থাকলেও যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালাচ্ছে, তাতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। কিয়েভ থেকে কিছুটা দূরে ওদের বাড়ি। রাশিয়া ইউক্রেনের জনবসতি এলাকায় হামলা না করলেও যে কোনও সময় বোমা ফেলতে পারে।”
মানিক বাড় জানান, “ফোন করে খোঁজ নিয়েছি। ওনারা বলছেন, ওনাদের এলাকায়ও বোমা পড়েছে। অদ্ভূত আতঙ্ক ঘিরে রয়েছে ওনাদের। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতি! ভয় তো পাওয়ারই কথা। আমরাও খুবই চিন্তায় রয়েছি। মেয়ে জামাই বর্তমানে সুইৎজারল্যান্ডে থাকে। ওরাও খুব চিন্তায় আছে। সন্তানের জন্য মা বাবার যেমন সবসময় চিন্তা থাকে। সন্তানরাও তো সবসময় মা বাবার কথা ভাবে। ইউক্রেনে এমন পরিস্থিতি। দেশের বাইরে বেরোনোও কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। দ্রুত যেন এই বিপদ কেটে যায়। সকলে যেন ভালভাবে নিজের দেশে থাকতে পারেন।”
সকালে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও, বেলা গড়াতেই কিয়েভের দক্ষিণ পশ্চিমে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, কিয়েভের একটি আবাসনে আছড়ে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানবন্দরের কাছে আছড়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উপর হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, ইউক্রেন দখল নয়, বরং সেখানে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তা দমন করতেই সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ, গুলি চালনা ও সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা ইউক্রেনই। বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের কথা ঘোষণা করছে।
আরও পড়ুন: Bagjola: খালের জলে পায়ের ঝাপটানি আর গোঙানির শব্দ! উঁকি দিতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য…