Abhijit Ganguly: ভোটের প্রচারে এবার ‘তিহাড় জেলের’ জুজু দেখাচ্ছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি! শুনে কী বলছে তৃণমূল
Abhijit Ganguly: অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, 'আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি বিধায়ককে। আপনি যদি দুর্বৃত্তপনা বন্ধ না করেন, যদি সন্ত্রাস সৃষ্টি বন্ধ না করেন, তাহলে আপনার দিন কিন্তু ঘনিয়ে এসেছে।' এরপর বিজেপি প্রার্থীর আরও সংযোজন, কীভাবে তিনি এত সম্পত্তি করলেন? সমবায় তৈরি করে দুর্নীতি করলেন... সেই জিনিসটা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে এবং তিনি হয়ত আবার তিহাড়ে চলে যেতে পারেন।'
তমলুক: ভোটে গরম বাংলার রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। এবার রাজনীতির ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এক মন্তব্য ঘিরে। নন্দকুমারে প্রচারে গিয়ে নাম না করে নন্দকুমারের বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি বিধায়ককে। আপনি যদি দুর্বৃত্তপনা বন্ধ না করেন, যদি সন্ত্রাস সৃষ্টি বন্ধ না করেন, তাহলে আপনার দিন কিন্তু ঘনিয়ে এসেছে।’ এরপর বিজেপি প্রার্থীর আরও সংযোজন, কীভাবে তিনি এত সম্পত্তি করলেন? সমবায় তৈরি করে দুর্নীতি করলেন… সেই জিনিসটা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে এবং তিনি হয়ত আবার তিহাড়ে চলে যেতে পারেন।’
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হল তমলুক। বিজেপির টিকিটে এবার সেখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে তৃণমূল থেকে লড়ছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রার্থী রয়েছে বামেদেরও। সিপিএমের তরফে সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়েকে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছে তমলুক থেকে। ভোটের মুখে ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে ভোট ময়দানে লড়াইয়ের মাঝেই আচমকা স্থানীয় বিধায়ককে কেন নিশানা করলেন অভিজিৎবাবু?
যদিও এই মন্তব্যের বিষয়ে পরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, ‘সেখানকার বিধায়ক শুধু দুর্নীতি নয়, সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমি তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছি। যতক্ষণ আমি এই ধরনের ঘটনা শুনতে থাকব, ততক্ষণ হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁকে সবাধান করতে থাকব।’ তবে বিজেপি প্রার্থীর এমন মন্তব্যে পাল্টা দিতে ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবিরও। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা পদ্ম প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ঘাসফুল শিবিরের তরফে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে’র বক্তব্য, ‘নন্দকুমারের মাটিকে তিনি চেনেন না। এখানে কোনওদিন সন্ত্রাস হয়নি, আগামী দিনেও হবে না। হয়ত কতিপয় মানুষের স্বার্থসিদ্ধি হয় না বলে তাঁকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাঁদের কথা শুনে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বিচারপতির আসনে ছিলেন। এখন রাজনীতির ছত্রছায়ায় এসেছেন। আরও কিছুদিন রাজনীতি করুন, তারপর বুঝতে পারবেন রাজনীতি কী জিনিস।’