Siliguri: গজলডোবায় এক টুকরো কাশ্মীর, নববর্ষে পর্যটকদের উপহার রাজ্যের
নৌকায় চেপে যে সব পর্যটক জলশয়ে যান, সেখানে হাউসবোট চালানো হবে। নৌকাগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে নামানো হবে।
গজলডোবা: কাশ্মীরের আস্বাদ এবার রাজ্যেই! শিলিগুড়ির কাছে গজলডোবায় এবার চালু হচ্ছে শিকারা ভ্রমণ। ছোট-ছোট নৌকাগুলিকে শিকারার মতো করে সাজিয়ে তিস্তা নদীর পাশে জলাশয়ে নামানো হবে। আর এটা পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ হবে বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকার। শুক্রবার গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে শীঘ্রই শিকারা ভ্রমণ চালু করার পরিকল্পনার কথা জানালেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলেই গজলডোবায় তিস্তার পাশে লেকটি সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানান বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “বহু পর্যটক আসছেন ভোরের আলোয়। এবার তাঁদের জন্য নানা প্রকল্প চালু হবে। এখানে নৌকায় চেপে যে সব পর্যটক জলশয়ে যান, সেখানে হাউসবোট চালানো হবে। নৌকাগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে নামানো হবে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে সেই কাজ শুরু হয়েছে। কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে সাজিয়ে তোলা হবে এই শিকারা ভ্রমণ। আমরা সেরা প্রকল্প হিসাবে গজলডোবায় এই প্রকল্পকে তুলে ধরছি।” শিকারা ভ্রমণ চালু হলে গজলডোবার ভোরের আলো-য় পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে দাবি পর্যটনন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পর্যটনকেন্দ্রগুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত, উত্তরবঙ্গে ভোরের আলো, টি ট্যুরিজম থেকে শুরু করে নানান পর্যটন প্রকল্পের সূচনা করেছেন তিনি। এবার তার সঙ্গে নতুন সংযোজন হতে চলেছে শিকারা ভ্রমণ।