BDO: ক্লাসে ঢুকে আচমকা ধরলেন GK-র প্রশ্ন, বিডিও-কে কাছে পেয়ে হাসিমুখে উত্তর দিল খুদের দল
BDO: অন্যদিকে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিডিও-র সরাসরি সাক্ষাৎ হওয়ায় স্বভাবতই খুশি স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরাও এদিন স্কুলের নানা অভাব-অভিযোগের কথা সরাসরি তুলে ধরেন বিডিও-র কাছে।
নামখানা: স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন খোদ বিডিও (BDO)। কথা বলছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। প্রশ্ন করছেন নানা বিষয়ে। বিডিওকে শিক্ষকের ভূমিকায় পেয়ে খুশি কচিকাঁচারাও। স্কুলের পরিকাঠামো, মিড ডে মিল সহ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মান খতিয়ে দেখতে গিয়ে শিক্ষকের ভুমিকায় দেখা মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার নামখানা ব্লকের বিডিওকে। শনিবার দুপুরে ফ্রেজারগঞ্জ লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিলেন বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর। বিডিওকে পেয়ে পড়ুয়ারাও আনন্দিত।
মূলত মৎস্যজীবীদের বাস এই এলাকায়। বেশিরভাগ তাঁদের পরিবারের সন্তানরাই এই স্কুলে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় দুশো ছুঁইছুঁই। প্রতিদিনের মতো এদিনও বেলা ১১টা থেকে স্কুলে ক্লাস চলছিল। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এদিন সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের বেশ কয়েকটি স্কুল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন বিডিও। দুটি স্কুল ঘুরে আচমকা ফ্রেজারগঞ্জ লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আসেন তিনি। স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে নানাবিধ বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন শান্তনুবাবু। এরপরই সোজা চলে যান প্রথম শ্রেণির ক্লাসে। সেখান থেকে চলে যান ক্লাস থ্রি-র পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে। ক্লাস গিয়ে বই হাতে নানা বিষয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপ করার পাশাপাশি সাধারন জ্ঞান নিয়েও কিছু প্রশ্ন করেন। পড়ুয়াদের কাছে তিনি ২৪ পরগনা দিয়ে আরও একটি জেলার নাম জানতে চান, বকখালি কী জন্যে বিখ্যাত, ফ্রেজারগঞ্জ বানান কী সহ নানা প্রশ্ন করেন। অনেক পড়ুয়াকেই সঠিক উত্তর দিতে দেখা যায়। সঠিক উত্তর পেয়ে বেশ খুশিও হন বিডিও। অন্যদিকে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিডিও-র সরাসরি সাক্ষাৎ হওয়ায় স্বভাবতই খুশি স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরাও এদিন স্কুলের নানা অভাব-অভিযোগের কথা সরাসরি তুলে ধরেন বিডিও-র কাছে। এস্কুল পরিদর্শনের বিষয়ে বিডিও শান্তনু সিংহঠাকুর বলেন, “প্রতি শনিবার অফিসের কাজের চাপ একটু কম থাকে। সেজন্য এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। আজও বেশ কয়েকটা স্কুল ঘুরলাম। সার্বিকভাবে স্কুলের পরিকাঠামো, পড়াশোনার মান, মিড-ডে মিল, অন্যান্য সমস্যাগুলিও খতিয়ে দেখলাম। সমস্যা থাকলে সমাধানও করা হবে দ্রুত। পড়ুয়াদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতেও ভাল লাগে। পাশাপাশি স্কুলে এলে এখানে কী সমস্যা হচ্ছে তা একেবার সরাসরি শিক্ষকদের মুখ থেকে শুনতে পারা যায়।”