Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sonarpur Crime: সোনারপুর যুবক ‘খুনে’ উঠে আসছে গোপালের নাম, কে এই গোপাল? তদন্তে পুলিশ

Sonarpur: ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনায় গোপাল হালদার নামে এলাকার এক যুবকে নাম উঠে আসছে।

Sonarpur Crime: সোনারপুর যুবক 'খুনে' উঠে আসছে গোপালের নাম, কে এই গোপাল? তদন্তে পুলিশ
কে এই গোপাল হালদার?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 1:56 PM

কলকাতা: সোনারপুরের কামরাবাদ এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এক যুবকের দেহ। মৃত যুবকের নাম লাল্টু হাজরা। তাঁর পেটে ও হাতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলির খোলও পাওয়া গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। পুলিশের অনুমান, খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। মৃতের পরিবার অভিযোগ, লাল্টুর বন্ধুদের মধ্যেই কেউ এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনায় গোপাল হালদার নামে এলাকার এক যুবকে নাম উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই ওই গোপালের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

কে এই গোপাল? স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত সে। সম্প্রতি ওই গোপাল জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। অস্ত্র নিয়ে মাঝে মধ্যেই গোপাল এলাকায় ঘোরাফেরা করত বলে দাবি লাল্টুর পরিবারের। তাঁদের সন্দেহ, এই গোপালই লাল্টু হাজরাকে খুন করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। সূত্রের খবর, ছয়জনের নাম লাল্টু হাজরার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

লাল্টু হাজরার মা জানাচ্ছেন, গোপাল নাকি একবার তাঁর ছেলেকে মারতে এসেছিল। পরে অবশ্য সেইসব মিটমাট হয়ে গিয়েছিল বলেই লাল্টু জানিয়েছিল তাঁর মাকে।

কামরাবাদের যে বাড়িটি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাল্টু হাজরার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে এক আইনজীবীর। জানা গিয়েছে, ময়ূখ সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না এবং রাতে লাল্টু, বিশ্বজিৎ এবং কৈলাশ নামে তিন বন্ধুর সেখানে থাকার কথা ছিল। রাত ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ লাল্টুর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল বিশ্বজিতের। লাল্টু যখন সেখানে এসেছিল, তখন বিশ্বজিৎ সেখানে ছিলেন না। বিশ্বজিৎকে ফোনে লাল্টু বলেছিল, মশা মারার ধুপ আনার জন্য। কিন্তু কার্ত্তিক পুজোয় ব্যস্ত থাকার কারণে রাত ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ বিশ্বজিৎ সেখানে এসে পৌঁছায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় লাল্টুর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।

কিন্তু কেন ময়ূখের বাড়িতে থাকছিল লাল্টুরা? ময়ূখবাবু জানাচ্ছেন, তাঁর কোনওদিন ফিরতে দেরি হলে, বা বেশি রাত হলে সেই সময় লাল্টুরা সেখানে থাকত। শুক্রবার রাতেও সেই মতো ছিল।

উল্লেখ্য, ওই বাড়িটির তিনটি গেট খোলা ছিল। কী কারণে সেই গেটগুলি খোলা ছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিশ্বজিৎ জানাচ্ছেন, ময়ূখের পোষ্যদের দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁদের উপরে। সেই কারণেই গেটগুলি খোলা রাখা হয়েছিল। এদিকে বাড়িটির যা অবস্থা… একাধিক জানালার কাঁচ ভাঙা। ফলে দুষ্কৃতীদের ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না বলেই বাড়ির হালচাল দেখে অনুমান করা যায়।

ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “এটা উত্তর প্রদেশ নয়। এখানে আমরা বিচার করব। নিশ্চিতভাবে দুষ্কৃতী আছে। সেই দুষ্কৃতী যাতে দমন হয়, যাতে তাদের আদালতে পেশ করা হয়, সেই ব্যাপারে পুলিশ উদ্যোগ নিয়েছে এবং নিতে থাকবে।”