Diamond Harbour: দেড় ঘণ্টা ধরে ডায়মন্ড হারবারে আটকে রইলেন ববি, দফায় দফায় বিক্ষোভ, দেখানো হল জুতো-ঝেঁটা
Diamond Harbour: ফলতার দিকে গিয়েও ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। ঝাঁটা-জুতো নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলারা। তাঁরা বলতে থাকেন, 'আমরা ১০০ দিনের টাকা চাই। এখানে তো শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে, ওঁরা কেন আসবেন?'
ফলতা: সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। এদিন সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরছিলেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি। একটি বুথে গিয়ে তিনি দেখান, কীভাবে জানালা দিয়ে ইভিএম মেশিন দেখা যাচ্ছে। এভাবেই ছাপ্পা দিয়ে অভিষেক জিতছেন বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন তিনি। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
ডায়মন্ড হারবারের দিঘিরপাড় বাজারে আটকে দেওয়া হয় ববির গাড়ি। সকাল ১০ টা থেকে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রার্থীকে। অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা পরও দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বহিনী বা কুইক অ্য়াকশন টিমের। পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে পৌঁছয় কিউআরটি টিম। কোনও রকমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় অভিজিৎ দাসকে।
তবে এখানেই শেষ নয়। ফলতার দিকে গিয়েও ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। ঝাঁটা-জুতো নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলারা। তাঁরা বলতে থাকেন, ‘আমরা ১০০ দিনের টাকা চাই। এখানে তো শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে, ওঁরা কেন আসবেন?’ এদিকে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, এই সব অঞ্চলে পঞ্চায়েত ভোটই হয় না। ছাপ্পা ভোট বন্ধ করতেই ফলতায় গিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অভিজিৎ আরও বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে চাকরি চলে যাবে। এভাবেই অভিষেক এখানে জিতছে, আর বলছে ৩ লক্ষ-৪ লক্ষ ভোটে জিতছি।’