Body Recovered from Diamond Harbour Hospital: হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার মহিলার ঝুলন্ত দেহ, চিকিৎসক-নার্সদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে মৃত্যু?
Diamond Harbour: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার : হাসপাতালের বাথরুম থেকে এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার রাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃতার নাম তাপসী হালদার। বয়স ৩৮ বছর। মৃতার বাড়ি কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার মানিকগঞ্জ এলাকায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
চিকিৎসক ও নার্সদের চোখ এড়িয়ে গেল কীভাবে?
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রোগ ও যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তাপসী দেবী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রোগে ভুগতে ভুগতে মানসিক অবসাদের জেরে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন। হাসপাতালের বাথরুমের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল। প্রথমদিকে সেভাবে কারও কিছু নজরে আসেনি। কিন্তু পরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় কর্তব্যরত নার্সদের। পরে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলতেই দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তাপসী হালদারের দেহ। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে ওই রোগী বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পেটের যন্ত্রণা থেকেই আত্মঘাতী?
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে তাপসী হালদার ভরতি হয়েছিলেন কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে তিনি মহিলা সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন। জানা গিয়েছে, বছর দুই আগে গলব্লাডারে অপারেশন হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তারপরও পেটের যন্ত্রণা কমেনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত, সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে এই নিয়ে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ। মৃত তাপসী হালদারের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, “পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তাপসী হালদার। অনেকদিন ধরেই এই সমস্যা চলছিল। প্রথমে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করানো হয়েছিল। এরপর সোমবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। ডাক্তার বলেছিলেন, চিন্তার কিছু নেই। এমন কিছু হয়নি, লিভার বেড়েছে। ঠিক হয়ে যাবে। এর আজ সন্ধ্যায় হাসপাতালের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছে।” এদিকে হাসপাতালের ভিতরেই নার্স, চিকিৎসক এবং অন্যান্য হাসপাতাল কর্মীদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে একজন রোগী আত্মঘাতী হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : Canning House Fire: বউয়ের সঙ্গে বিশাল ঝামেলা, রেগে বাড়িই জ্বালিয়ে দিলেন স্বামী!
আরও পড়ুন: Potato Farming: আলুর বীজ পচেছে মাঠেই! এগিয়ে আসুক সরকার, দাবি আরামবাগের আলু চাষীদের